সংক্ষিপ্ত
বাইক না পাওয়ার রাগে বিয়েই করতে চাইলেন না পাত্র! বিয়ের মণ্ডপে এসেও বিয়ে ভেঙে দিলেন নতুন বর।
বিয়েতে মোটরবাইক দিতে পারেনি পাত্রীর পরিবার। বাইক না পাওয়ার রাগে বিয়েই করতে চাইলেন না পাত্র! চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের জৈনপুরে। বিয়ের মণ্ডপে এসেও বিয়ে ভেঙে দিলেন নতুন বর। অন্যায্য দাবির জেরে কনের পরিবারের সদস্য এবং বরযাত্রীদের মধ্য়ে বেঁধে যায় ব্যাপক ধুন্ধুমার! প্রথমে শুরু হয় তর্কবিতর্ক দিয়ে, সেই বাকবিতণ্ডা এগিয়ে যায় গালিগালাজ পর্যন্ত। তারপরেই দুই পক্ষের মধ্যে শুরু হয় হাতাহাতি।
-
তুলকালাম কাণ্ডের পরে বরযাত্রীদের আটকে রেখে দেয় কনের বাড়ির লোকজন। খবর পেয়েই তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয় স্থানীয় থানার পুলিশ। আটক থাকা বরপক্ষকে উদ্ধার করা হয়। গভীর রাতে বর ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এই ঘটনা উত্তর প্রদেশের জৈনপুরের নাথুপুর গ্রামের।
-
নাথুপুরের বসন্ত সোনকার তাঁর মেয়ে পূজা সোনকারের সঙ্গে বিয়ে ঠিক করেছিলেন চান্দৌলির কাকরহাটির বাসিন্দা মঙ্গলাবা প্রসাদের ছেলে জিতেন্দ্রে সোনকারের সঙ্গে। জিতেন্দ্র পেশায় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। বুধবার রাত ন'টা নাগাদ জিতেন্দ্রকে নিয়ে কনের বাড়িতে হাজির হয় তাঁর বাড়ির লোকজন। বর আসার পর নির্দিষ্ট রীতি-রেওয়াজও পালন করা হয়। কিন্তু, কিছুক্ষণের মধ্যেই বাধে গোলযোগ। জিতেন্দ্র খবর পান যে, আপাতত তাঁকে পণ হিসেবে মোটরবাইকটি দিতে পারছে না পাত্রীপক্ষ। এই কথা শুনেই রাগে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন জিতেন্দ্র। তিনি নিজের বাবাকে গিয়ে এই কথা জানান। জিতেন্দ্রর বাবা কনের পরিবারের কাছ থেকে খোঁজ নেন। তিনি জানতে পারেন যে, বিয়ের দিন নয়, বরং, বিয়ের পরেরদিন সকালবেলা সমস্ত নিয়মনীতি পালিত হয়ে যাওয়ার পর জিতেন্দ্রকে মোটরবাইকটি দেওয়া হবে।
-
এই কথাবার্তা চলাকালীন বরের পরিবারের তরফ থেকে পণের মোটরবাইকটি দেখতে চাওয়া হয়। কন্যাপক্ষ সেটি দেখাতে অস্বীকার করে। তখনই দুই পক্ষের পক্ষে ব্যাপক অশান্তি শুরু হয়। একে অপরের প্রতি গালিবর্ষণও করতে থাকেন। কিছুক্ষণ পর দুই পক্ষের হাতাহাতি বেধে যায়। এরপরেই জিতেন্দ্র বিয়েতে বেঁকে বসেন। বরপক্ষের তরফ থেকে সরাসরি বিয়ে ভেঙেই দেওয়া হয়। সবাই মণ্ডপ ছেড়ে চলে যেতে উদ্যোগী হন। কন্যা পক্ষের লোকজন তাঁদের বাধা দেন, তারপর সবাইকে ধরে আটক করে রাখা হয়। এই খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পুলিশকর্মীরা গিয়ে পৌঁছন। বর ও তাঁর বাবাকে ধরে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
-
মেয়ের ভাই অরবিন্দ অভিযোগ করেছেন যে, ‘যৌতুক’ হিসেবে বিয়ের আগেই নগদ ছয় লাখ টাকা নিয়ে নিয়েছে বর পক্ষ। সেই টাকা দেওয়ার পরও মোটরবাইক দাবি করেছেন তাঁরা। যৌতুকের ৬ লক্ষ ছাড়াও বিয়ের আয়োজন, তাঁবু, খাওয়া-দাওয়া সহ বিপুল আয়োজন করতে আরও লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ হয়ে গিয়েছে তাঁদের। তারপরেও মোটর বাইক দিতে না পারায় ছেলের পরিবারের তরফ থেকে বিয়ের দিন বিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কিশোর কুমার চৌবে জানিয়েছেন, উভয় পক্ষের মধ্যে কথা চলছে। বিষয়টির নিষ্পত্তি না হলে অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা দায়ের করা হবে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।