সংক্ষিপ্ত

টাকার বিনিময়ে বন্ধুদের সঙ্গে নিজের স্ত্রীকে শারিরীক সম্পর্কে লিপ্ত হতে বাধ্য করত স্বামী। অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ার পরেও ক্রমাগত ধর্ষণ করত ভাশুর ও দেওর।

টাকার বিনিময়ে বন্ধুদের সঙ্গে নিজের স্ত্রীকে শারিরীক সম্পর্কে লিপ্ত হতে বাধ্য করত স্বামী। অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ার পরেও ক্রমাগত ধর্ষণ করত ভাশুর ও দেওর। প্রতিবাদ করলে প্রচণ্ড মারধর করা হত তাঁকে, দেওয়া হত খুনের হুমকি। শ্বশুরবাড়ির ঘৃণ্য অত্যাচার থেকে বাঁচতে শেষমেশ পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন নির্যাতিতা গৃহবধূ। তখনও স্বামী, ভাশুর ও দেওর মিলে প্রকাশ্য রাস্তায় মারধর করে বলে অভিযোগ। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের মুজাফফর নগরের জেলার ককরোসি থানার অন্তর্গত বেহেড়াসাদত এলাকায়। মুসকান নামের ওই গৃহবধূ শ্বশুরবাড়ি থেকে কোনও রকমে পালিয়ে এসে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ ।

-

জানা গেছে,উত্তরপ্রদেশের বিজনোর জেলার আফজলগড়ে মুসকানের বাপের বাড়ি। মুজফফর নগরের জেলার ককরোসি থানার অন্তর্গত বেহেড়াসাদত এলাকার বাসিন্দা আলি শেরের সঙ্গে ২০১৮ সালের ৪ মার্চ তাঁর বিয়ে হয়েছিল। আলি শের পেশায় একজন হাতুড়ে চিকিৎসক। মুসকানের দাবি, প্রথম দিকে অতিরিক্ত পণের দাবিতে তাঁর উপর অত্যাচার করা শুরু হয়েছিল। পরে, আলি শের নিজের বন্ধুবান্ধব ও বহু অপরিচিত ব্যক্তিদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে জোর করে তাঁদের সঙ্গে নিজের স্ত্রীকে যৌন মিলনে বাধ্য করত, বেঁকে বসলে মারধর করত। মুখ খুললে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা খুনের হুমকি দিত। মুসকানের আরও অভিযোগ, তিনি যখন ৬-৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা, তখন থেকেই আমার ভাশুর ও দেওর জোর করে তাঁকে ধর্ষণ করত। ঘটনার কথা বাড়িতে বললে সকলে মিলে তাঁকে মারধর করত। 

-


নির্যাতিতা মহিলা আরও জানিয়েছেন যে, ইতিমধ্যে তাঁর একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। কিন্তু, ছেলে না হয়ে মেয়ে হয়েছে বলে তাঁর ওপর নতুন করে নির্যাতন শুরু হয়। পাশাপাশি, জোর করে তাঁকে দেহ ব্যবসায় নামতে বাধ্য করেছিল তাঁর স্বামী। প্রতিবাদ করলে তাঁকে সহ তাঁর  মেয়েকেও খুনের হুমকি দিয়েছিল। এই সমস্ত কিছু যানিয়ে তিনি ককরোসি থানায় পৃথক একটি এফ আই আর দায়ের করেছেন ।

-

ওই মুসলিম গৃহবধূ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কাছে আবেদন জানিয়ে বলেন, ‘মোদীজি, যোগীজির কাছে আমার আবেদন যে আমায় ন্যায় বিচার দিন। অপরাধীদের সাজা দেওয়ার ব্যবস্থা করুন । অন্যথায় আমি হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করতে বাধ্য হব।’

এই বিষয়ে মুজাফফরনগরের পুলিশ সুপার সিটি সত্যনারায়ণ সিং বলেছেন, 'মুজাফফর নগর জেলার ককরোসির মহিলা থানায় মুসকান নামের একজন মহিলা শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে পণের দাবিতে অত্যাচার ও পারিবারিক হিংসার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এই ঘটনার বিষয়ে তদন্ত চলছে।’


-
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে