জোশীমঠের কাছে চিন সীমান্ত এলাকায় নীতি উপতক্যায়  হিমবাহে ধস  এখনও পর্যন্ত ৪৩০ জন উদ্ধার করা হয়েছে এবং ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বড়সড় এই বিপর্যয়ের আশঙ্কায় সতর্কতা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন কেন্দ্রীয় সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন অমিত শাহ

ফের ভয়ঙ্কর প্রাকৃতিক বিপর্যয় উত্তরাখন্ডে। জোশীমঠের কাছে চিন সীমান্ত এলাকায় নীতি উপতক্যায় হিমবাহে ফাটল ধরে তা ভেঙে পড়েছে। ভয়ঙ্কর এই দুর্যোগের কোপে বর্ডার রোড অর্গানাইজেশনের একটি ক্যাম্প পড়েছে। সেনার পক্ষ থেকে জান গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ৪৩০ জন উদ্ধার করা হয়েছে। এই ধসের ফলে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। ইতিমধ্যেই দেহগুলিকে উদ্ধার করা হয়েছে।

Scroll to load tweet…

বড়সড় এই বিপর্যয়ের আশঙ্কায় সতর্কতা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন। জোশীমঠের সুমনা থেকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। গোটা পরিস্থিতির উপর নজরদারি চালাচ্ছে কেন্দ্র। উত্তরাখন্ডের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও কথোপকথন হয়েছে স্বরাষ্টমন্ত্রী অমিত শাহের। সেনাবাহিনীকেও প্রস্তুত থাকার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও কেন্দ্রীয় সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন অমিত শাহ।

Scroll to load tweet…


এর আগে ফেব্রুয়ারি মাসে হিমবাহ ধসের ঘটনা ঘটেছিল উত্তরাখন্ডে, যার জেরে প্রাণ হারিয়েছিল শতাধিক মানুষ। ফের আবারও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ফলে সতর্কতা জারি করেছে প্রশাসন। উত্তরাখন্ডের মুখ্যমন্ত্রী তিরথ সিং রাওয়াত টুইটে জানিয়েছেন, 'নীতি উপত্যকার সুমনায় হিমবাহ ধসের খবর পাওয়ার পরেই সতর্কতা জারি করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন ও বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশনের থেকে ক্রমাগত খবরাখবর নিচ্ছি। এবং জেলা প্রশাসনকেও সমস্ত তথ্যা পাঠানোর জন্য নির্দেশ দিয়েছি'।

Scroll to load tweet…

এনডিআরএফ-এর পক্ষ থেকে জানা গেছে, ঋষিগঙ্গা নদীর জলের উচ্চতাও ২ ফুট বেড়ে গিয়েছে। এটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১১ হাজার ৮০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত। ১৯৬২-র ভারত-চিন যুদ্ধের পর নীতি উপত্যকা সিল করে দেওয়া হয়েছিল। ভারতীয় সেনারা আরও জানিয়েছে, শুক্রবার বিকেল ৪টা নাগাদ হিমবাহ ধস পড়েছে। তারপর থেকেই নিখোঁজদের উদ্ধারে সেনা ও এনডিআরএফ -এর তল্লাশি চালালেও ভারী বৃষ্টিপাত ও ধসের কারণে কাজে সমস্যা হচ্ছে। একাধিক জায়গায় ধস নামার কারণে ইতিমধ্যেই ৪-৫টি অঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে।