সংক্ষিপ্ত
উত্তরাখণ্ডের ঘটনার পর থেকেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে উদ্বেগ। বিশেষত সিল্কিয়ারা টানেলে জরুরি প্রস্থানের অনুপস্থিতি এই উদ্বেগকে আরও কয়েকগুন বাড়িয়ে দিচ্ছে।
১৭ দিনের লড়াইয়ের পর অবশেষে উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীর টানেল থেকে উদ্ধার করা গেল আটকে পড়া শ্রমিকদের। তবে এই ঘটনার পর থেকেই আরও তৎপর হয়ে উঠেছে প্রশাসন। উত্তরকাশীর ঘটনার যাতে ভবিষ্যতে পূণরাবৃত্তি না হয় তার জন্য বিশেষ পদক্ষেপ নিচ্ছে ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (NHAI)। টানেল নির্মানের ক্ষেত্রে একাধিক বিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই সারা দেশের সমস্ত চলমান টানেল প্রকল্পগুলি পরিদর্শনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উত্তরাখণ্ডের ঘটনার পর থেকেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে উদ্বেগ। বিশেষত সিল্কিয়ারা টানেলে জরুরি প্রস্থানের অনুপস্থিতি এই উদ্বেগকে আরও কয়েকগুন বাড়িয়ে দিচ্ছে। এছাড়া ত্রুটিপূর্ণ সরঞ্জাম এবং সম্ভাব্য অস্থিতিশীল ভূখণ্ডের মধ্যে উদ্ধারকারীরাও বিশেষ চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছিলেন।
হিমালয়ের একাধিক সমস্যার মধ্যে অন্যতম হল উত্তরাখণ্ড প্রায়শই ভূমিধস, ভূমিকম্প এবং বন্যায় বিপর্যস্ত হয়। চারধাম তীর্থযাত্রার রুটে অবস্থিত সিল্কিয়ারা টানেলটি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকারের একটি প্রকল্প। এই প্রকল্পের লক্ষ্য গঙ্গোত্রী, যমুনোত্রী, বদ্রীনাথ এবং কেদারনাথকে সংযুক্ত করা। তবে এই প্রকল্প নিয়ে বিতর্ক রয়েছে প্রথম থেকেই। বিশেষজ্ঞদের মতে, পাহাড়ি অঞ্চলে অনিয়ন্ত্রিত উন্নয়ন এই অঞ্চলের ভঙ্গুরতাকে আরও বাড়িয়ে তোলে। ব্যাপক নির্মাণ, জলবিদ্যুৎ প্রকল্প, এবং অপর্যাপ্ত নিষ্কাশন ব্যবস্থা পরিবেশগত ঝুঁকি বাড়িয়েছে, যার ফলে সাম্প্রতিক টানেল ধসের মতো বিপর্যয় ঘটেছে। এছাড়াও খুব অল্প সময়ের মধ্যেই হিমালয় জুড়ে অসংখ্য অন্যান্য বিপর্যয় ঘটেছে।
পরিবেশবিদরা চার ধাম প্রকল্পের জন্য যথাযথ পরিবেশগত প্রভাব মূল্যায়নের অভাবকেই দায়ী করছেন। তাঁদের দাবি সুযোগ থাকা সত্ত্বেও বেশ কিছু বাধ্যতামূলক মূল্যায়নকে বাদ দেওয়াই এত বড় বিপর্যয়ের কারণ। এছাড়া হিমালয়ে হিমবাহ গলানোর ফলে বন্যা এবং ভূমিধসের আশঙ্কা দেখা দেয়, ফলত এই প্রকল্পের সম্ভাব্য পরিবেশগত এবং সামাজিক প্রভাবগুলি মূল্যায়ন এবং প্রশমিত করার জন্য সুপ্রিম কোর্ট একটি কমিটি নিয়োগ করার কথা বলেছে।