সংক্ষিপ্ত
- মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলেন মা
- বিয়ের পর মেয়ে জানতে পারেন এক গোপন কথা
- নিজের মায়ের সঙ্গেই সম্পর্ক রয়েছে স্বামীর
- এনিয়ে স্বামীর সঙ্গে নিত্য ঝামেলা চলত তরুণীর
পাত্র দেখে বড় মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলেন মা। বিয়ের পর মেয়ে জানতে পারেন তাঁর স্বামীর সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে মায়ের। পায়ের তলা থেকে মাটি সরে যায় তরুণীর। অবশেষে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় ওই তরুণী। এমনি অবাক করা কাণ্ড ঘটেছে হায়দরাবাদে। তরুণীর মৃত্যুর পর তাঁর ১৭ বছরের বোন মায়ের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন।
ছোট মেয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে আইনের ৩০৬ ও ৪২০ ধারায় ওই মহিলার বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। জানা গেছে মহিলার নাম অনিতা। প্রেমনবীন কুমার নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে তার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। স্বামীর থেকে আলাদা থাকতেন অনিতা। প্রমেনবীনের সঙ্গে প্রায় একবছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল তার। এমন অভিযোগই করেছে অনিতার ছোট মেয়ে। মাঝে মধ্যেই ওই ব্যক্তি তাদের বাড়িতেও আসত।
আরও পড়ুন: ৪৫ বছরের সম্পর্কে ইতি, মাইক্রোসফটকে বিদায় জানালেন গেটস
অভিযোগ সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে নিজের বড় মেয়ের সঙ্গে প্রেমনবীনের বিয়ে দিয়েছিলেন অনিতা। এই ঘটনা মেনে নিতে না পেরেই গলায় দড়ি দিয়ে তার দিদি আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি অনিতার ছোট মেয়ের। ইতিমধ্যে মার্পেট থানা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করতে শুরু করেছে।
জানা যাচ্ছে ১৯ বছরের ওই তরুণী হায়দরাবাদের একটি কলেজের ছাত্রী ছিলেন। বিয়ের পর স্বামীর সঙ্গে মায়ের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের বিষয়ে জানতে পারেন ওই তরুণী। এরপরেই গতবছর ডিসম্বরে তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দেয় প্রেমনবীন । এদিকে বিষয়টি জানাজানি হলে ফল হবে না বলে মেয়েকে শাসিয়েছিল অনিতাও।
আরও পড়ুন: দেশে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্ত, স্টেডিয়ামগুলিকে হাসপাতাল বানানোর পরামর্শ
তবে বিষয়টি নিয়ে স্বামীর সঙ্গে তরুমীর ঝামেলা চলছিল। শেষপর্যন্ত আত্মহত্যার পথই বেছে নেয় মেয়েটি। শোবারঘরে নিজের শাড়ি দিয়ে ঝুলে পড়ে সিলিংফ্যান থেকে। একটি সুইসাইড নোটও লিখে রেখে যায় সে। নিজের লেখা শেষ চিঠিতে আইনের কাছে ন্যায়বিচার দাবি করেছেন ওই তরুণী।