সংক্ষিপ্ত

যোগী আদিত্যনাথের জনসংখ্যা বিল ২০২১ নিয়ে আপত্তি জানালো বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। এক সন্তান নীতি, হিন্দু-মুসলমান জনসংখ্যার ভারসাম্য নষ্ট করে দেবে বলে আশঙ্কা করছে তারা।

 

গত ১০ জুলাই উত্তরপ্রদেশ সরকার জনসংখ্যা (নিয়ন্ত্রণ, স্থিতিশীলতা ও কল্যাণ) বিল, ২০২১ এর খসড়া প্রকাশ্যে এনেছিল এবং সেই বিষয়ে মতামত চেয়েছিল। সোমবার, যোগী আদিত্যনাথ সরকারের সেই বিল নিয়ে আপত্তি জানালো বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। বিলে দুই সন্তান নীতিকে তারা সমর্থন করলেও 'এক সন্তান নীতি' অনুসরণ করার জন্য সরকারী কর্মচারী এবং জনসাধারণকে উত্সাহিত করার বিষয়টির বিরোধিতা করেছে তারা। কয়েকটি রাজ্যের হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের, ভিন্ন ফার্টিলিটি রেট (TFR)-এর উল্লেখ করে তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেছে, ১ সন্তান নীতির ফলে দেশে হিন্দু জনসংখ্যা আরও কমবে এবং মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাবে।

এদিন ভিএইচপি-র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অলোক কুমার উত্তরপ্রদেশের আইন পরিষদকে এই বিষয়ে একটি চিঠি দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে আপত্তি জানিয়েছেন। সেখানেই ভিএইচপি আশঙ্কা প্রকাশ করেছে, বিভিন্ন সম্প্রদায় পরিবার পরিকল্পনা ও গর্ভনিরোধের আহ্বানে ভিন্ন ভিন্নভাবে প্রতিক্রিয়া জানায় বলে, এই নীতির ফলে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের জনসংখ্যার মধ্যে ভারসাম্যহীনতা দেখা দিতে পারে। উদাহরণ হিসাবে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ তুলে ধরেছে কেরল এবং অসমের কথা। দুই রাজ্যেই গত কয়েক বছরে হিন্দুদের ফার্টিলিটি রেট, প্রতিস্থাপনের হার ২.১'এর  তুলনায় অনেকটাই কমেছে। কিন্তু, মুসলমানদের টিএফআর অসমে ৩.১৬ এবং কেরলে ২.৩৩।

আরও পড়ুন - জন্ম দেওয়া যাবে না ২-এর বেশি সন্তানের - যোগী-রাজ্যে আসছে নয়া আইন, জানুন বিস্তারিত

আরও পড়ুন - ৮৫ % গেরুয়া - UP'তে ফের বিরাট জয় বিজেপির, সঙ্গে সঙ্গে যোগীকে ট্যাগ করে টুইট মোদীর

আরও পড়ুন - নতুন আতঙ্কের নাম কাপ্পা, যোগীরাজ্যে ২ জনের শরীরে মিলল এই প্রজাতি

এর সঙ্গে সঙ্গে তারা চিনের উদাহরণ দিয়েছে। চিনও একসময় এক সন্তান নীতি নিলেও, বর্তমানে কর্মক্ষম জনসংখ্যা বিপুলভাবে কমে যাওয়ায়, সম্প্রতি সেই নীতি অনেকটাই শিথিল করেছে বেজিং। এই উদাহরণ তুলে অলোক কুমার চিঠিতে উত্তরপ্রদেশ জনসংখ্যা ২০২১ বিলের ৫, ৬(২) এবং ৭ নম্বর ধারা বাতিল করার পরামর্শ দিয়েছেন। দুই সন্তানের নীতিকে তারা সমর্থন করলেও, ভিএইচপি বলেছে, এক সন্তান নীতির ফলে এমন পরিস্থিতিতে তৈরি হতে পারে, যেখানে দু'জন বাবা-মা এবং চারজন দাদু-ঠাকুমাকে দেখাশোনা করার জন্য মাত্র একজন কর্মক্ষম জোয়ান পড়ে থাকবে। যে অবস্থা এখন চিনে সৃষ্টি হয়েছে।