সংক্ষিপ্ত
মণিপুর, কুকি, মেইতি, মণিপুর সংঘর্ষ, ভারতীয় সেনা জওয়ান, Manipur, Kuki, Meiti, Manipur Conflict, Indian Army Soldiers,
নতুন বছরের প্রথম দিনেই হিংসায় উত্তপ্ত মণিপুর। সোমবার সন্ধ্যায় মণিপুরের ইম্ফল উপত্যকার থৌবাল জেলার লিলং গুলিতে নিহত চার সাধারণ নাগরিক। এই ঘটনার পরই নতুন করে ফের কার্ফু জারি করা হয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা।
চার নাগরিকের মৃত্যুর পাশাপাশি অজ্ঞাত পরিচয় বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত হয়েছে পাঁচজন। লিলং এলাকা মূলত মেইতেই মুলসিম মানুষের বাস। এই হামলার ঘটনার পরই স্থানীয় প্রশাসন থৌবাল, পূর্ব ইম্ফল, পশ্চিম ইম্ফল জেলায় নতুন করে কার্ফু জারি করেছে. অন্যদিকে কাকচিং, বিষ্ণুপুর জেলায় আগের তুলনায় আরও শক্ত করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্তা। এই এলাকাগুলি সবই ইম্ফল উপত্যকায়।
হামলাকারীদের এখনও পর্যন্ত সনাক্ত করা যায়নি। যদিও এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও বিবৃতি জারি করেনি স্থানীয় প্রশাসন। প্রশাসন সূত্রের খবর মুখোশ পরে ছদ্মবেশ ধারণ করে এলাকায় হামলা চালিয়েছে। হামলার ঘটনায় ঘটনাস্থলেই চার জনের মৃত্যু হয়েছে। আহতদের দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে য়াওয়া হয়েছে। এই হামলার ঘটনার পরই বিক্ষুব্ধ স্থানীয়রা কয়েকটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। স্থানীয়দের অভিযোগ সংশ্লিষ্ট গাড়িতে করেই এসেছিল হামলাকারীরা। এই ঘটনায় গোটা ইম্ফল উপত্যকায় এখনও যথেষ্ট উত্তেজনা রয়েছে।
নতুন বছরের প্রথম দিনে এই হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং। তিনি লিলং ও উপত্যকার অন্যান্য এলাকার জনগণকে শান্ত থাকার অহ্বান জানিয়েছেন। তিনি একটি ভিডিও বার্তা জারি করে বলেছেন, 'পুলিশ অপরাধীদের ধরতে কাজ করছে। আইন অনুযায়ী তাদের শাস্তি হবে। আমি জনগণকে, বিশেষ করে লিলং-এর লোকদের শান্ত থাকার জন্য এবং অপরাধীদের ধরতে সরকারকে সাহায্য করার জন্য আবেদন করছি'।
গত ৩ মে থেকে হিংসার উত্তপ্ত মণিপুর। মেইতি আর কুকিদের মধ্যে সংঘর্ষের জেরে দীর্ঘ দিন পরিস্থিতি ছিল অস্বাভাবিক। হিংসার ঘটনায় প্রায় ২০০ জন প্রাণ হারিয়েছে। ৬০ হাজারের বেশি মানুষ ভিটেমাটি হারিয়ে ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে। হিংসার কারণে দীর্ঘদিন ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ ছিল মণিপুর রাজ্যে।