সংক্ষিপ্ত
- নতুন দশকটি হবে বিহারের জন্য
- স্থানীয়রা উন্নয়নের জন্যই এই রায় দিয়েছে
- সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে জানান প্রধানমন্ত্রী
- বিহারের মানুষ উন্নয়নকেই বেছে নিয়েছেন বলে দাবি করেন
বিহার নির্বাচনে এনডিএ-এর জয়কে উন্নয়নের জয় হিসেবেই চিহ্নিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মঙ্গলবারই এনডিএ জয় পাওয়ার পর তিনি বলেন, বিহারের জনগণ উন্নয়নকে আরও একবার সুযোগ দেওয়ার জন্য এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি আরও বলেন বিহার বিশ্বকে গণতন্ত্রের প্রথম পাঠ শিখিয়েছে। তিনি আরও বলেন বিহারের রেকর্ড সংখ্যাক দরিদ্র, বঞ্চিত মহিলার ভোট দিয়ে সরকার নির্বাচিত করেছে। আর রাজ্যের উন্নয়ন চালু রাখার জন্যই তাঁরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এক নজরে দেখেনিন বিহারের ফলাফল।
বিহার বিধানসভা নির্বাচন
এনডিএ ১২৫
মহাজোট ১১০
এলজেপি ১
অন্যান্য ৭
সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এনডিএ-কে সমর্থন করার জন্য বিহারের বাসিন্দাদের অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেছেন, তাঁরা এনডিএ-এর 'সবকা সাথ' আর 'সবকা বিশ্বাস' মন্ত্রের ওপর ভরসা করেছে। তিনি আরও বলেন বিহারের প্রত্যেক নাগরিকের পাশে তাঁদের সরকার থাকবে। উন্নয়ন আর বিকাশের জন্য তাঁদের সরকার সর্বদা প্রচেষ্টা করবে। পাশাপাশি তিনি বিহারের তরুণদেরও স্বাগত জানিয়েছেন এনডিএর জয়ের জন্য। তিনি বলেন বিহারের তরুণদের রায়ে স্পষ্ট যে নতুন দশকটি বিহারের জন্য হবে। বিহার আত্মনির্ভর হওয়ার রোডম্যাপ তৈরি করতে শুরু করেছে। গ্রামাঞ্চলের কৃষক দরিদ্র ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে বিহারের প্রতিটি জনগণ এনডিএ-এর পাশে দাঁড়িয়েছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।
মহামারির মধ্যেই বিহার বিধানসভায় তিন দফায় হয় ভোট গ্রহণ। ভোট গ্রহণের মতই গণনাতেও মেনে চলা হয়েছিল স্বাস্থ্যবিধি। আর সেই কারণেই গতকাল গভীর রাতে ফল প্রকাশ হয় বিহার বিধানসভা নির্বাচনের। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অবশ্য সম্পূর্ণ ফল ঘোষণা হওয়ার আগেই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে তাঁর বার্তা দিয়েছেন। তিনি যখন এই বার্তা দেন তখনও বিহারে বেশ কয়েকটি আসনে ভোট গণনা চলছিল। তবে তার সেইসময় অবশ্য স্পষ্ট হয়েগিয়েছিল বিহারে আবারও ক্ষমতায় ফিরতে চলেছে এনডিএ। প্রকাশিত ফল অনুযায়ি ২৪৩ আসনের বিহার বিধানসভায় ম্যাজিক ফিগার ১২২। এনডিএ-র দখলে রয়েছে ১২৫টি আর মহাজোটের দখলে রয়েছে ১১০টি আসন। মাত্র একটি আসন পেয়েই সন্তুষ্ট থাকতে রয়েছে চিরাগ পাসওয়ানের এলজেপিকে। এদিন ভোর ৩টের সময় বিহারের ভোট গণনা সমাপ্ত হয়েছে।