Waqf Board Not Integral Part of Islam: ওয়াকফ বোর্ডগুলি ধর্মনিরপেক্ষ কাজ করে এবং হিন্দু ধর্মীয় দাতব্য বিভাগ ধর্মের সাথে সম্পর্কিত, কেন্দ্রীয় সরকার সুপ্রিম কোর্টে এই যুক্তি দিয়েছে।
Waqf Board Not Integral Part of Islam: ওয়াকফ হল দান, ইসলামের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ নয়। ওয়াকফ বোর্ডগুলি কেবল ধর্মনিরপেক্ষ কাজ করে। কিন্তু হিন্দু ধর্মীয় দাতব্য বিভাগের পরিচালনা সম্পূর্ণরূপে ধর্মের সাথে সম্পর্কিত, সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্রীয় সরকার এই যুক্তি দিয়েছে। বিচারপতি বি.আর. গাভাই এবং বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মাসিহর সামনে কেন্দ্রীয় সরকারের ওয়াকফ সংশোধনী আইনকে বুধবার জোরালোভাবে সমর্থন করেছেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। তিনি বলেছেন, ওয়াকফ একটি ইসলামি ধারণা। তবে এটি ইসলামের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ নয়, কেবল দানের অংশ। দানের ধারণা খ্রিস্টান, হিন্দু, শিখ, সব ধর্মেই আছে, আদালতের রায়ও তাই বলে।
হিন্দু ধর্মীয় এনডোমেন্টগুলি কেবল ধর্মীয় কার্যকলাপের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। কিন্তু ওয়াকফ হল স্কুল, মাদ্রাসা, ধর্মশালা ইত্যাদি ধর্মনিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠানের মতো। ওয়াকফ বোর্ডে দুইজন অমুসলিম সদস্য নিয়োগের বিষয়ে অবস্থান স্পষ্ট করে মেহতা বলেন, দুইজন অমুসলিম থাকলে কিছু বদলাবে? ওয়াকফ বোর্ড কোনও ধর্মীয় কার্যকলাপ দেখাশোনা করে না। তাই ওয়াকফ বোর্ডে দুইজন অমুসলিম নিয়োগ ধর্মের ব্যাপারে হস্তক্ষেপ নয়। সরকারি জমির উপর কেউ অধিকার স্থাপন করতে পারে না। ওয়াকফ বাই ইউজার (ওয়াকফ দীর্ঘদিন ধরে সরকারি জমি ব্যবহার করলে সেই জমি ওয়াকফের হয়ে যায়) নিয়ম অনুযায়ী ঘোষিত জমি সরকার ফেরত নিতে পারে।
কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে হাজির সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা অন্তর্বর্তীকালীন আদেশের বিষয়ে আদালত ৩টি বিষয় নির্ধারণ করেছে এবং কেন্দ্রীয় সরকার সেই ৩টি বিষয়ে তার উত্তর দাখিল করেছে বলে আদালতকে জানান। ওয়াকফ আইনের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মুসলিমদের পক্ষে হাজির আইনজীবী কপিল সিবল বলেন, ‘এই আইন ওয়াকফ রক্ষার জন্য বলা হচ্ছে, কিন্তু এর উদ্দেশ্য ওয়াকফ দখল করা। কোনও প্রক্রিয়া ছাড়াই ওয়াকফ সম্পত্তি দখল করার মতো করে আইন তৈরি করা হয়েছে’। এই সময়, সংসদে গৃহীত আইনগুলি সাংবিধানিক বলে ধরে নেওয়া হয় এবং স্পষ্ট ও গুরুতর সমস্যা না থাকলে আদালতের হস্তক্ষেপ করা উচিত নয় বলে সুপ্রিম কোর্ট মত প্রকাশ করে।
বাংলায় ওয়াকফ হিংসায় হিন্দুরাই লক্ষ্যবস্তু: প্রতিবেদন
কলকাতা: ‘গত মাসে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে ওয়াকফ আইনবিরোধী হিংসায় বাংলার শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের এক নেতা জড়িত ছিলেন। হিন্দুদের লক্ষ্য করে হিংসা চালানো হয়েছে। পুলিশ নিষ্ক্রিয় ছিল’, কলকাতা হাইকোর্ট গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে এমনটাই বলা হয়েছে। ‘হামলায় হিন্দুদের লক্ষ্য করা হয়েছিল। হিংসা পরিচালনা করেছিলেন স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর মেহবুব আলম। সাহায্যের জন্য ফোন করলেও পুলিশ কোনও সাড়া দেয়নি। দোকান ও মলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে, ব্যাপক লুটপাট চালানো হয়েছে’।


