সংক্ষিপ্ত

অজিত কাথাদ ও স্ত্রী সরলা গুজরাটের বাসিন্দা। দিউতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। সেখানেই সমুদ্র সৈকতে প্যারাসেইল করছিলেন তাঁরা। তাঁদের দুর্ঘটনার ভিডিও রীতিমত সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিকবার পোস্ট করা হয়েছে। 

প্রমোদ বিহার ঠিক কতখানি ভয়ঙ্কর হতে পারে তার একটি উদাহরণ হতে পারে এই ভিডিওটি (video)। .দম্পতি নিছকই ভ্রমণের আনন্দে দিউতে প্যারাসেইল( parasailing ) আনন্দ উপভোগ করছিলেন। কিন্তু সেই আনন্দই তাঁদের বিপদের কারণ হয়ে  দাঁড়ায়। মাঝ আকাশে উড়ছিলেন তাঁরা। সেই সময়ই তাঁদের প্যারাসুটের দড়িটি ছিঁড়ে যায়। তারপর তাঁরা সমুদ্রে পড়ে যান। লাইফ জ্যাকেট পড়ে থাকেন বলে তাঁরা প্রাণে কোনও ক্রমে বেঁচে যায়। কিন্তু স্বামী জানিয়েছেন তাঁর স্ত্রী এখনও ট্রমায় রয়েছে। ঘটনার পর বেশ কিছুক্ষণ কথাও বলতে পারেননি তিনি। 

অজিত কাথাদ ও স্ত্রী সরলা গুজরাটের বাসিন্দা। দিউতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। সেখানেই সমুদ্র সৈকতে প্যারাসেইল করছিলেন তাঁরা। তাঁদের দুর্ঘটনার ভিডিও রীতিমত সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিকবার পোস্ট করা হয়েছে। অনেক নেটিজনই ভ্রমণার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। ১ মিনিট ২৪ সেকেন্ডের ভিডিওটি রীতিমত ভয়ঙ্কর।  ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে দম্পতি একসঙ্গে প্যারেসেইলিং করছিলেন। মাঝ আকাশে উড়ছিলেন তাঁরা। সেই সময়ই যে দড়ি দিয়ে প্যারাসুট বোটের সঙ্গে বাঁধা থাকে সেটি ছিঁড়ে যায়। তারপরই আর ভিডিতে দম্পতির দেখা মেলে না। 

অতিজ কাথাদের ভাই রাকেশ ছিল পাওয়ার বোটে। তিনি ভিডিওটি শ্যুট করেছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, দাদা বৌদি দড়ি ছিঁড়ে যাওয়ার পর থেকেই চিৎকার করছিলেন। তারপর দুজনেই সমুদ্রে পড়ে যায়। কিন্তু কি করে নিমেষে এই দুর্ঘটনা ঘটে তা এখনও তাঁরা আন্দাজ করতে পারছেন না বলেও জানিয়েছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন যে উচ্চতায় তাঁদের দঁড়ি ছিঁড়ে গিয়েগিয়েছিল তা ছিল রীতিমত ভয়ঙ্কর। কারণ সেই সময় তাঁরা অনেকটাই উপরে ছিলেন। 

Jammu Kashmir: নিহত ২ ব্যবসায়ী কি জঙ্গি সমর্থক, প্রশ্নের মুখে শ্রীনগরের জঙ্গি বিরোধী অভিযান

Rajasthan CM: শিক্ষকদের সভায় ঘুষ নিয়ে প্রশ্ন, মুখ লাল হল অশোক গেহলটের

প্যারাসেইলিং পরিষেবা প্রচানকারী বেসরকারি সংস্থা ও স্থানীয় লাইফগার্ডরা দম্পতিতে উদ্ধার করেন। যদিও রাকেশ কাথাডের অভিযোগ আগেই তিনি জানিয়েছিলেন প্যারাসুটের দঁড়িতে বেশ জরাজীর্ন। যে কোনও সময় ছিঁড়ে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা করেছিলেন তিনি। কিন্তু অপারেটাররা তাঁদের কথা শোনেননি। সব ঠিক হয়ে যাবে বলেও আশ্বস্ত করেছিলেন। অজিত জানিয়েছেন দঁড়ি ছিঁড়ে যাওয়ার পর কয়েক মুহূর্ত তাঁরা আকাশে ভেসে গিয়েছিলেন। তারপর সমুদ্রে জলে পড়ে যান। লাইফ জ্যাকেট ছিল বলে এযাত্রায় প্রাণ বেঁচেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। 

যদিও সংস্থার মালিক এই ঘটনার দায় ঝাড়তেই ব্যস্ত। তিনি গোটা ঘটনার জন্য প্রকৃতিকেই দায়ি করেছেন। বলেছেন বাতাসের কারণেই এই দুর্ঘটনা। তিন বছরে এই প্রথম দুর্ঘটনা ঘটল বলেও জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন তাঁর সংস্থায় প্রশিক্ষিত কর্মী রয়েছে। তাই কোনও মানুষেরই জীবন বিপন্ন হতে পারে না। 

YouTube video player