সংক্ষিপ্ত
আন্ডারওয়াটার টার্গেটে সফল দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হেভিওয়েট টর্পেডো। নৌবাহিনী আর ডিআরডিও এটি তৈরি করেছে।
দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি শক্তিশালী ও ভারী টর্পেডো পরীক্ষা সফল হল ভারতীয় সেনা বাহিনী। জলের তলায় সফলভাবেই লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করে। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ছবি শেয়ার করেছে ভারতীয় সেনা বাহিনী। ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে টর্পেডো জলের তলায় লক্ষ্যবস্তুতে সফলভাবে আঘাত করেছে। তারপরই মাঝ সমুদ্র প্রচণ্ড জলোচ্ছ্বাস হয়।
ভারতীয় নৌবাহিনীর মুখপাত্র টুইট করে বলেছে, 'আন্ডারওয়াটার টার্গেটে সফল দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হেভিওয়েট টর্পেডো। নৌবাহিনী আর ডিআরডিও এটি তৈরি করেছে। জলের তলায় যে কোনও লক্ষ্যবস্তুতে অস্ত্র সরবরাহের জন্য ভারতের তৈরি এই টর্পেডো একটি উল্লেখযোগ্য মাইল ফলক।' সোশ্যাল মিডিয়া সেনা বাহিনীর মুখপাত্র আরও বলেছে, এটি আত্মনির্ভরতার মাধ্যমে ভবিষ্যতে যুদ্ধ প্রস্তুতির শুরুও বলা যেতে পারে।
বরুণাস্ত্র নামে অ্যান্টি সাবমেরিন হেভিওয়েট টর্পেডোকে ২০১৫ সালে ভারতীয় নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। নৌবাহিনীর জন্য ডিআরডিওর নৌবিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত পরীক্ষাগারে এটি তৈরি করা হয়েছে। ডিআরডিওর মতে এটি একটি বিদ্যুতিক চালিত টর্পেডো যা অগভীর জলে ও তীব্র প্রতিকূল পরিবেশে যেকোনও সাবমেরিনকে সফলভাবে টার্গেট করতে পারে।
এই টর্পেডোর ওজন ১.২৫ টন। এটি প্রায় ২৫০ কেজি বিস্ফোরক বহন করতে পারে। এই টর্পেডো ঘণ্টায় ৪০ নটিক্যাল মাইল বেগে যেতে পারে।
গত বছর ভারতীয় নৌবাহিনী ভারতীয় জলসীমায় একটি ফ্রিগেট থেকে তার সারফেস টু এয়ার সিস্টেমের সাহায্যে নিখুঁতভাবে একটি কম উড়ন্ত লক্ষ্যে আঘাত করেছিল। নৌবাহিনীর শেয়ার করা একটি ভিডিওতে দেখা যায় একটি ক্ষেপণাস্ত্র তার সাইলো থেকে বেরিয়ে এসে অবস্থান নেয়। উৎক্ষেপণের পরে, ক্ষেপণাস্ত্রটি তার লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যায় এবং জলের উপরে একটি বিস্ফোরণ ঘটে যা নির্দেশ করে যে নিচু উড়ন্ত বস্তুটি সফলভাবে ক্ষেপণাস্ত্র দ্বারা আঘাত করা হয়েছিল।
যাইহোক দিনে দিনে চিন ক্রমশই ভারত মহাসাগরে শক্তি বাড়াচ্ছে। পাল্টা দিয়ে ভারতেও শক্তি বাড়াচ্ছে ভারত মহাসাগর এলাকায়। তাতে আধুনিক প্রযুক্তির এই হেভিওয়েট টর্পেডো আগামী দিনে ভারতীয় নৌবাহীনিকে আরও শক্তিশালী করবে। মনে করছে সেনা বাহিনী।