সংক্ষিপ্ত
মহাজাগতিক এক দৃষ্য ধরা পড়ল শনিবার রাতের আকাশ। আলোময় হয়ে গেল মহারাষ্ট্র ও মধ্যপ্রদেশের আকাশ। যা দেখে অনেকেই উত্তেজিত হয়ে পড়েন।
মহাজাগতিক এক দৃষ্য ধরা পড়ল শনিবার রাতের আকাশ। আলোময় হয়ে গেল মহারাষ্ট্র ও মধ্যপ্রদেশের আকাশ। যা দেখে অনেকেই উত্তেজিত হয়ে পড়েন। বিশেষজ্ঞদের মতে মহাজাগতিক এই আলো উল্কা বৃষ্টি। মহারাষ্ট্রের নাগপুর, মধ্যপ্রদেশের ঝাবুয়া, বারোয়ানি জেলায় দেখতে পাওয়া হেছে।
উস্কা হল চকচক উজ্বল একটি রেখা, যা রাতের আকাশে দেখতে পাওয়া যায়। অনেকেই এটিকে তারা খসা বা শ্যুটিং স্টার বলেন। প্রাচীন মিথ অনুযায়ী খসে পড়া তারার কাছে কিছু চাইলে তা অবশ্যই পাওযায়।
বিজ্ঞানের কথায় উল্কা হল মহাজাগতিক বস্তু। যা মাধ্যকর্ষণ শক্তির প্রভাবে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের প্রচণ্ডগতিতে প্রবেশ করে। তাতেই সেটিতে আগুন লেগে যায়। পৃথিবী সূর্যকে প্রদক্ষিণ করার সময় ধুলিময় অঞ্চলের মধ্যে দিয়ে যায়। সেই সময়ই মহাজাগতিক পদার্থ পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের মধ্যে প্রবেশ করে। সেগুলির গতিবেগ সেকেন্ডে ৩০-৬০ কিলোমিটার থাকায় আগুন লেগে যায়। একসঙ্গে অনেক উল্কাপাত হলে সেটিকে উল্কা ঝরনা বলে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, উজ্জইয়নির জিওয়াইজি ওবজারভেটারির এক কর্তা জানিয়েছেন এটি সাধারণ উল্কাপাত। বছরের এই সময়টা আকাশ পরিষ্কার থাকার জন্য মাঝে মাঝেই দেখা যায়। এদিন বারওয়ানি ভোপাল ইন্দোর বেতুল ও ধর দেখে দেখা গেছে। জিওয়াইজির সুপারিন্টনডেন্ট রাজেন্দ্র গুপ্ত জানিয়েছেন এটি একটি সাধারণ উল্কাপিণ্ড। তাদের পতন খুবই সাধারণ বিষয়। তিনিও জানিয়েছেন বছের অন্যান্য সময়ের তুলনায় এই সময়ই রাতের আকাশে উল্কাপাত পরিচিত দৃষ্য। এদিন আকাশ পরিষ্কার থাকায় ভালো করে দেখা গিয়েছে।
তবে এই ঘটনা নিয়ে চাঞ্চল্যও ছড়িয়ে পড়ে। রাতের আকাশে এই মহাজাগতিক আলোর খেলা দেখে অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। অনেকেই নাকি মনে করেন চিনা কোনও রকেট হানা দিয়েছে। যা তীব্র গতিতে চলে যাচ্ছে। তবে সেসব জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছেব বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা জানিয়েছেন এটি সাধারণ উল্কাপাত।