সংক্ষিপ্ত
বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রমোদীর সঙ্গে বৈঠক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের । এদিনের বৈঠকে বিএসএফ-র এক্তিয়ার বৃদ্ধি সহ সহ কী কী বিষয়ে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে চলু জেনে নেওয়া যাক।
বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রমোদীর (PM Modi) সঙ্গে বৈঠক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee)। এদিনের বৈঠকে বিএসএফ-র (BSF) এক্তিয়ার বৃদ্ধি, রাজ্যের বকেয়া অর্থের পাওনা নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
তৃণমূল সূত্রে খবর, বুধবার দুপুর সাড়ে তিনটেয় প্রথমে শুভ্রমনিয়াম স্বামী এবং তারপর বিকেল ৫ নাগাদ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠকে বসবেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। রাজ্যে থেকে দিল্লি পাড়ি দেওয়ার মুহূর্তে সোমবারই বিমানবন্দরে পৌছে মমতা বলেছিলেন, 'আমি দিল্লি যাচ্ছি। বুধবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত করতে পারি। বিএসএফ-র এক্তিয়ার বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত এবং রাজ্যের সার্বিক উন্নয়ন নিয়ে এই বৈঠকে আলোচনা হবে।' নভেম্বর মাসেই বিএসএফের ক্ষমতাধীন এলাকার পরিমাণ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রের মোদী সরকার। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয় সীমান্তের ৫০ কিমি পর্যন্ত এলাকায় তল্লাশি, গ্রেফতারের অধিকার দেওয়া হয়েছে বিএসএফকে। বলা হয় এখন থেকে বাংলা-সহ তিন রাজ্যে ৫০ কিলোমিটার ভিতরে ঢুকে তারা তল্লাশি, গ্রেফতার ও পণ্য বাজেয়াপ্ত করতে পারবে। এমনকী অসম, পশ্চিমবঙ্গ এবং পঞ্জাবে রাজ্য পুলিশের মতো তল্লাশি ও গ্রেফতারির অধিকারও থাকবে বিএসএফের। এই বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে চিঠিও লিখেছিলেন মমতা।
উল্লেখ্য, মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎকারে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উঠে আসবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। বিএসএফের এক্তিয়ার বৃদ্ধির পাশাপাশি আর্থিক প্যাকেজের বিষয়ও তুলে ধরতে পারেন মমতা। ২০২০-২১ আর্থিক বছরে জিএসটি বাবদ ২ হাজার কোটি টাকা প্রাপ্য বাংলার। পাশাপাশি আমফান, ইয়াস ইত্যাদি মোকাবিলা বাবদ ৩২ হাজার কোটি টাকা পাওনা রয়েছে। এছাড়াও আবাস যোজনা, সড়ক যোজনা, ন্যাশনাল হেলথ মিশন, জল জীবন মিশন-সহ একগুচ্ছ প্রকল্পের টাকা বকেয়া রয়েছে রাজ্যের। সেই টাকাগুলি মেটানোর জন্যও প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী।
২৫ নভেম্বর অবধি দিল্লিতে থাকবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, এর আগে জুলাই মাসে তিনি দিল্লি সফর করেছিলেন। আর রাজ্যে তৃতীয়বার সরকার গঠনের পর সেটাই ছিল তাঁর প্রথম দিল্লি সফর। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল সংখ্যক ভোট পেয়ে রাজ্যে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল। আর জয়ের পরই বাংলার পাশাপাশি অন্য রাজ্য দখলের দিকে ঝোঁকে তারা। ত্রিপুরা, অসম ও গোয়াকে পাখির চোখ করে এগোচ্ছে। পাশাপাশি ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের আগে বিজেপি বিরোধী দলগুলিকে একত্রিত করতে চাইছেন মমতা। আর সেই জোটের গুরুত্বপূর্ণ মুখ হিসেবে উঠে আসার সম্ভাবনা রয়েছে মমতার।