সংক্ষিপ্ত

'দ্যা কেরালা স্টোরি' র প্রজোযক বিপুল শাহ বলেছেন, আইনি পথে লড়াই হবে। যা যা ব্যবস্থা নেওয়ার তা আইনঅনুযায়ী নেওয়া হবে। কেরল হাইকোর্টও এই ছবির মুক্তির ওপর স্থগিতাদেশ দেয়নি।

'দ্যা কেরালা স্টোরি' এই রাজ্যে দেখান যাবে না। সোমবার নবান্না সাংবাদিক সম্মেলন করে এই কথা জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ঘোষণার কিছুক্ষণ পরেই ছবিটির প্রযোজক বিপুল শাহ মুম্বইতে বসে সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়ে দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ সরকার যে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে তার বিরুদ্ধে তারা আইনি ব্যবস্থা নেবেন। মুখ্যমমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিদ্ধেষ ও হিংসারর মত ঘটনা এড়াতেই এই রাজ্যে 'দ্যা কেরালা স্টোরি' র প্রদর্শন নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন।

তবে 'দ্যা কেরালা স্টোরি' র প্রজোযক বিপুল শাহ বলেছেন, আইনি পথে লড়াই হবে। যা যা ব্যবস্থা নেওয়ার তা আইনঅনুযায়ী নেওয়া হবে। কেরল হাইকোর্টও এই ছবির মুক্তির ওপর স্থগিতাদেশ দেয়নি। বিপুল শাহ আরও বলেছেন, ছবিটি এখন জাতীয়ভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তিনি বলেছেন, 'আমাদের প্রধানমন্ত্রী এই ছবিটি সম্পর্কে কথা বলেছেন। অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দলগুলি ছবিটি নিয়ে কথা বলছে। তাই এই ছবিটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিছু মানুষ সমর্থন জানিয়েছেন। কিছু মানুষ এর বিরোধিতা করছেন। কিন্তু এখন এই ছবিটিকে কেউই উপেক্ষা করতে পারবে না।' জাতীয় পর্যায়ে এটি একটি বড় সাফল্য বলেও জানিয়েছেন তিনি। তিনি আরও বলেছেন, প্রচারমূলক সিনেমা হলে মানুষ এই ছবিটি প্রত্যাখ্যান করত। কিন্তু মানুষ তা করেনি। ছবিটি কেরলে সফলভাবে চলছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। তিনি আরও বলেছেন, কেরলে এখনও পর্যন্ত কোনও সমস্যা হয়নি।

অন্যদিকে ভারতীয় চলচ্চিত্র ও টেলিভেশন পরিচালক সমিতি নবান্নের 'দ্যা কেরালা স্টোরি' ব্যান করার সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছেন। 'আইএফটিডিএ বেঙ্গল সরকারের দ্বারা বিপুল শাহের চলচ্চিত্র 'দ্য কেরালা স্টোরি'-এর উপর নিষেধাজ্ঞার নিন্দা করে। আমরা দৃঢ়ভাবে মনে করি যে ছবির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা একজন চলচ্চিত্র নির্মাতার মত প্রকাশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে। আমরা চলচ্চিত্র নির্মাতা এবং তার চলচ্চিত্রের পাশে দাঁড়িয়েছি ঠিক যেভাবে আমরা 'এর মতো চলচ্চিত্রের পক্ষে দাঁড়িয়েছিলাম। উড়তা পাঞ্জাব' এবং 'পদ্মাবত', 'চলচ্চিত্র সংস্থা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে।

 

 

রাজ্যে নিষিদ্ধ দ্যা কেরালা স্টোরি

সোমবার নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় 'দ্যা কেরালা স্টোরি'ছবিটির প্রাসঙ্গিকতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি ছবিটি নিষিদ্ধ করার আগে এই ছবির তীব্র সমালোচনা করেন। কথা প্রসঙ্গে তিনি 'দ্যা কাশ্মীর ফাইলস' ছবিটির প্রসঙ্গও উত্থাপন করেন। তিনি বলেন রাজনৈতিক দলগুলি আগুন নিয়ে খেলছে। তাঁর কথায় বর্তমানে জাতি ধর্ম নিয়ে ভেদাভেদ তৈরি করা হচ্ছে একটি বিশেষ সম্প্রদায়কে হেনস্থা করার হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন মমতা। তিনি এজাতীয় কাজ সমর্থন করবেন না বলেও জানিয়েছেন। কড়াভাবে এর প্রতিবাদ করবেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন রাজ্যে যে কোনও ধরনের ঘৃণা আর হিংসার ঘটনার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে। ছবিটি যদি কোনও প্রেক্ষাগৃহে দেখানো হয় তাহলে সেই হল মালিক বা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এটি একটি বিকৃত সিনেমা বলে আগেই জানিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।