সংক্ষিপ্ত

তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খন্ডন করেছেন শঙ্কর মিশ্র। তিনি জানিয়েছেন, যে মহিলার গায়ে প্রস্রাব করেছিলেন, তাঁর সঙ্গে অভিযুক্ত শঙ্কর মিশ্রর বোঝাপড়া হয়েছে।

আমেরিকার ফিনান্সিয়াল সার্ভিস কোম্পানি ওয়েলস ফার্গো, ছয়ই জানুয়ারী, ভারতে তার শাখার ভাইস-প্রেসিডেন্ট শঙ্কর মিশ্রকে বরখাস্ত করেছে। শঙ্কর মিশ্র মদ্যপ অবস্থায়, সত্তরোর্ধ এক মহিলার উপর প্রস্রাব করেছিলেন। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে ক্ষমা চান অভিযুক্ত শঙ্কর। তবে লাভ বিশেষ হয়নি। এদিন ওয়েলস ফার্গো সংস্থা বলেছে, “ওয়েলস ফার্গো সংস্থার সমস্ত কর্মীর পেশাগত এবং ব্যক্তিগত আচরণ সর্বোচ্চ স্তরের। সেই প্রেক্ষিতে এই অভিযোগগুলি অত্যন্ত বিরক্তিকর বলে আমরা মনে করছি। এর জন্য ওই ব্যক্তিকে ওয়েলস ফার্গো সংস্থা থেকে বরখাস্ত করা হচ্ছে। আমরা তদন্তকারীদের সঙ্গে সবরকম সহায়তা করছি।”

উল্লেখ্য, শঙ্কর মিশ্রের এই লজ্জাজনক কাজটি সবার চোখের সামনে ঘটলেও, কেউ তার কোনও প্রতিবাদ করেননি বলে অভিযোগ। এমনকী অভিযোগের পরও কেবিন ক্রু সদস্যরা ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেননি। মহিলা টাটা গ্রুপের চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখরনকে একটি চিঠি লেখেন, তারপরে শুরু হয় তদন্ত। এয়ার ইন্ডিয়া পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছে এবং ওই যাত্রীকে 'নো ফ্লাই' তালিকায় রাখার আবেদন করেছে। পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ কমিটি গঠন করা হয়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৬ নভেম্বর নিউইয়র্কের জন এফ কেনেডি বিমানবন্দর থেকে দিল্লি যাওয়ার এয়ার ইন্ডিয়ার AI-102 ফ্লাইটে। এই প্লেনে বিজনেস ক্লাসে যাত্রা করছিলেন ৭০ বছরের বৃদ্ধা মহিলা। দুপুরের খাবারের পর বিমানের আলো নিভিয়ে দেওয়া হয়। এসময় একজন নেশাগ্রস্ত ব্যক্তি তার আসনের কাছে এসে প্রস্রাব করে। ওই নারী তার অভিযোগে জানান, তার জামাকাপড়, ব্যাগ, জুতা প্রস্রাবে সম্পূর্ণ ভিজে গেছে। এ বিষয়ে তিনি ক্রু মেম্বারদের কাছে অভিযোগ করেন। এতে এয়ার হোস্টেস এসে জীবাণুনাশক ছিটিয়ে চলে যান। ফ্লাইটে বসা অন্য যাত্রীরাও এই আচরণে কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাননি। কিছুক্ষণ পর ক্রু সদস্য তাকে একজোড়া পায়জামা ও ডিসপোজেবল চপ্পল দিলেও প্রস্রাব করা ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

অবশ্য পরে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খন্ডন করেছেন শঙ্কর মিশ্র। তিনি জানিয়েছেন, যে মহিলার গায়ে প্রস্রাব করেছিলেন, তাঁর সঙ্গে অভিযুক্ত শঙ্কর মিশ্রর বোঝাপড়া হয়েছে। শঙ্করের বিরুদ্ধে অভিযোগও জানাতে চাননি তিনি। বৃদ্ধা মহিলার সঙ্গে অভিযুক্তের হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা চালাচালিও তুলে ধরেন তিনি। সেই বার্তা অনুযায়ী অভিযুক্ত শঙ্কর ওই মহিলার জামা-কাপড় এবং ব্যাগ কেচে পরিষ্কার করে দিয়েছেন। ৩০ নভেম্বর সেই জামা-কাপড় ও ব্যাগ ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। শঙ্কর মিশ্র আরও জানিয়েছেন, তদন্তকারীদের সঙ্গে সবরকম সহায়তা করবেন তিনি। তাঁর বিচার ব্যবস্থার উপর সম্পূর্ণ ভরসা আছে।