সংক্ষিপ্ত
ভারত চিন সীমান্তের পরিস্থিতিত কী
দেশের মানুষকে জানাক সরকার
সোশ্যাল মিডিয়ায় আবেদন রাহুল গান্ধীর
ভারত চিন সীমান্ত উত্তেজনা ক্রমশই বাড়ছে। মূলত লাদাখ সীমান্ত সেনা জমায়েত করছে দুই দেশই। প্রায় একমাস ধরে সীমান্তে উত্তেজনা বেড়ে চললেও কেন্দ্রীয় সরকার একনও পর্যন্ত তেমন কোনও মন্তব্য করেনি। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে এবার সরব হলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট রাহুল গান্ধী। শুক্রবার সোশ্যাল মিডিয়া রাহুল গান্ধী বলেন সীমান্ত কী হচ্ছে এবার অনত্ত সরকার দেশের মানুষকে পরিষ্কার করে বলুক সরকার।
শুক্রবার সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছেন কংগ্রেসের ওয়াইনাডের সাংসদ রাহুল গান্ধী। তিনি বলেন, চিনের সঙ্গে সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে সরকারের নীরবতা এই সংকটকালীন সময় জল্পনা ও অনিশ্চয়তা বাড়িয়ে তুলেছে। সীমান্তে কী হচ্ছে তা দেশের মানুষরে পরিষ্কার করে বলার জন্য এবার এগিয়ে আসা উচিৎ সরকারের।
গত মঙ্গলবারও বিষয়টি উত্থাপন করেছিলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী। সেদিনও তিনি বলেছিলেন সংকটকালীন এই সময় দেশের সরকারের আরও স্বচ্ছ থাকা অন্যন্ত জরুরী। তিনি আরও বলেন সরকারের নীরবতায় জল্পনা ক্রমশই বাড়ছে। যা নিয়ে তৈরি হচ্ছে সংশয়। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে সরকারে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া প্রয়োজন বলেও দাবি করেছেন রাহুল।
মে মাসের প্রথম থেকে সিকিম ও লাদাখে ভারত ও চিন সীমান্ত রীতমত উত্তেজনা বাড়তে থাকে। সীমান্ত চুক্তি লঙ্ঘন করে একাধিকবার চিনা সেনা ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করে বলেও অভিযোগ। পরিস্থিতি ক্রমশই জটিল হয়ে পড়ে। সূত্রের খবর সীমান্ত উত্তাপ প্রশমিত করতে দুই দেশের সেনা কর্তারা একাধিক বৈঠক করেন। কূটনৈতিক স্তরে চলা বৈঠক থেকেও বার হয়নি সমাধানসূত্র। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে করোনা সংকটকালীন সময়ও যুদ্ধের আসঙ্কায় রীতিমত ত্রস্ত দেশের নাগরিকরা। বিশেষজ্ঞদের মতে তাই রাহুল গান্ধী পরিস্থিতিতে বিস্তারিত জানতে চেয়েছেন দেশের সরকারের কাছে।