সংক্ষিপ্ত
কংগ্রেসের টুইটার অ্যাকাউন্ট লক করার প্রতিবাদ জানিয়ে তৃণমূল সাংসদের টুইট। কংগ্রেসের পাশে থাকার ইঙ্গিত দিলেন ডেরেক।
মমতার দিল্লি সফরের পর কিছুটা হলেও বদলে কংগ্রেস আর তৃণমূল কংগ্রেসের সমীকরণ। তার আরও একটি ইঙ্গিত পাওয়া গেল তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়নের একটি টুইট থেকে। বৃহস্পতিবার সকালে তিনি সোশ্যাল মিডিয়া জায়েন্ট টুইটারে (Twitter) বার্তা দিয়েই আক্রমণ করেছে টুইটারকে। কংগ্রেসের টুইটার অ্যাকাউন্ট লক করার প্রসঙ্গ তুলে তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি কিছুটা কটাক্ষের সুরেই বলেন 'কী চলছে টুইটারে?'
ডেরেক টুইট করে বলেন 'কী চলছে টুইটারে?' প্রথম লাইনেই তিনি ট্যাগ করেন টুইটার, টুইটার ইন্ডিায়া আর টুইটারের প্রধান জ্যাক ডরিসকে। পাশাপাশি তিনি বলেন কংগ্রেসের টুইটার অ্যাকাউন্ট লক করার তীব্র বিরোধিতা করছেন তাঁরা। একই সঙ্গে রাহুল গান্ধীসহ বাকি কংগ্রেসের নেতাদের সোশ্যাল মিডিয়া বন্ধ করে দেওয়ারও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার সকালেই কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ইনস্টাগ্রাম আর ফেসবুকে বার্তা দিয়ে জানান হয়েছে দলের অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডেলটি লক করে দেওয়া হয়েছে। সেইকারণে তাঁরা দলের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে কোনও কিছুই পোস্ট করতে পারবে না। এর মাত্র দিন ছয়েক আগেই ওয়াইনাডের সাংসদ রাহুল গান্ধীর টুইটার অ্যাকাউন্ট লক করে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ তুলেছিল কংগ্রেস। যদিও টুইটার রাহুল গান্ধীর টুইটার অ্যাকাউন্ট লক করার বিষয়ে মন্তব্য করেছে। কুন্তু কী কারণে কংগ্রেসের টুইটার অ্যাকাউন্ট লক করা হয়েছে তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করেনি টুইটার। বুধবারই টুইটার ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে জানান হয়েছে টুইটারের নীতি না মানায় রাহুল গান্ধীর টুইটার অ্যাকাউন্ট লক করা হয়েছে। পাশাপাশি নিহত কিশোরী নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে কংগ্রেস নেতার ছবিও সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
Mission GSLV F10: সফল উৎক্ষেপণের পরে যান্ত্রিক সমস্যা, ধাক্কা খেল ISRO
অযোধ্যার রামলালার জন্য রুপোর দোলনা, ঐতিহ্য মেনেই 'ঝুলা উৎসব' পালন রামজন্মভূমিতে
মোদী জি ভয় পেয়েছেন, টুইটার অ্যাকাউন্ট 'লক' করায় কংগ্রেসের নিশানায় প্রধানমন্ত্রী
ডেরেকের এই টুইট কংগ্রেসের ও তৃণমূল কংগ্রেসের দিল্লির রাজনীতির সমীকরণ বদলে দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট ইঙ্গিতবাহী। কারণ পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভাসহ বেশ কয়েকটি নির্বাচনে কংগ্রেস তৃণমূল কংগ্রেসের বিরোধীতা করে বামেদের হাত ধরেই ভোট যুদ্ধে সামিল হয়েছিল। কিন্ত পর থেকেই রাজ্যরাজনীতিতে কংগ্রেসের তৃণমূলের দূরত্ব বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য বিধানভা নির্বাচনের পর তৃণমূল নেত্রী দিল্লি গিয়ে কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া আর রাহুল গান্ধীর সঙ্গে বৈঠক করেন। তারপরেই রাহুল গান্ধীর ডাকা প্রাতঃরাশ বৈঠকেও উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। তবে পেগাসাস নিয়ে বিরোধীদের আন্দোলনে সামিল ছিল না তৃণমূল। যদিও সেই সময় দিল্লিতে উপস্থিত মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় জানিয়েছিলেন পেগাসাসের বিরুদ্ধে তাঁরা সর্বদা প্রতিবাদ করবেন। কিন্তু তারপর বেশ কয়েকটি কর্মসূচিতে কংগ্রেসের পাশেই দেখা গেছে তৃণমূলকে। অন্যদিকে সম্প্রতি ডেরেকের বেশ কয়েকটি টুইটেই জায়গা করে নিয়েছে কংগ্রেস। সংসদে বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে এই অভিযোগ তুলে দিন কয়েক আগেই ডেরেক টুইট করেছিলেন। সেখানে পোস্ট করা তিন মিনিটের ভিডিওকে প্রথমেই ছিল কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গের বক্তব্য। তাই থেকে বোঝা যেতেই পারে কংগ্রেসের কাছাকাছি যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস।