সংক্ষিপ্ত

২০১৪ সালে দেশজুড়ে বিপুল ভোটে জয় লাভের পর নরেন্দ্র মোদী যখন প্রথমবার দেশের প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছিলেন সেবার ২৬ মে রাষ্ট্রপতি ভবনের সামনের উঠোনে অনুষ্ঠিত হয়েছিল এই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান। তবে এবার জিতলে বদলে যেতে পারে সেই ছবি।

দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু থেকে শুরু করে অন্যান্য অনেক প্রধানমন্ত্রীদেরই শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছিল রাষ্ট্রপতি ভবনের চিরপরিচিত অশোক হলে। যদিও প্রথমবার সেই প্রথা ভেঙে ১৯৯০ সালে প্রধানমন্ত্রী চন্দ্রশেখর সিং রাষ্ট্রপতি ভবনের উঠোনে শপথ নিয়েছিলেন। পরবর্তীতে একই পথ অনুসরণ করেছিলেন স্বয়ং অটলবিহারী বাজপেয়ীও।

অতীতের ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যাবে ২০১৪ সালে দেশজুড়ে বিপুল ভোটে জয় লাভের পর নরেন্দ্র মোদী যখন প্রথমবার দেশের প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছিলেন সেবার ২৬ মে রাষ্ট্রপতি ভবনের সামনের উঠোনে অনুষ্ঠিত হয়েছিল এই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান। তবে এবার জিতলে বদলে যেতে পারে সেই ছবি।

আগামী ৪ জুন ভোটের ফল ঘোষণার পর তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসলে কোথায় দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদী? তা নিয়েই এই মুহূর্তে তুঙ্গে জল্পনা। এসবের মধ্যেই বিজেপির একটি সূত্র মারফত পাওয়া খবরে জানা যাচ্ছে আর রাষ্ট্রপতি ভবন নয়, অষ্টাদশ লোকসভা ভোটে এনডিএ জিতলে নয়া দিল্লির ‘কর্তব্যপথ’-এ দাঁড়িয়ে শপথ নিতে পারেন নরেন্দ্র মোদী।

জানা যাচ্ছে আগামী ৪ জুন নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর আগামী ৯ জুন সেখানেই খোলা মঞ্চে করে অনুষ্ঠিত হবে তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী পদে নরেন্দ্র মোদীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান। প্রসঙ্গত দিল্লির এই ‘কর্তব্যপথ’ই আগে পরিচিত ছিল রাজপথ নামে। কিন্তু ২ বছর আগেই বদলে গিয়েছে এই নাম। ২০২২ সালে ভারতের স্বাধীনতা দিবসের ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে ইন্ডিয়া গেট পর্যন্ত বিস্তৃত সড়কপথ-কে রাজপথের পরিবর্তে কর্তব্য পথ নাম দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী।

২০১৪ সালে মোদীকে শপথবাক্য পাঠ করিয়েছিলেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। পরবর্তীতে ২০১৯ সালের ৩০ মে দ্বিতীয়বার ওই একই স্থানে দেশের প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ গ্রহণ করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। সেসময় তাকে শপথ বাক্য পাঠ করিয়েছিলেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। তবে প্রধানমন্ত্রী পদে নরেন্দ্র মোদীর পূর্বসূরি মনমোহন সিংহ শপথ নিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি ভবনের মূল গম্বুজের নীচের অশোক হলে।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।