সংক্ষিপ্ত
শনিবার দুপুর ২.১৫ মিনিটে তিনি তার কর্মভূমি বাদু সাহেবে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তাঁর মরদেহ গুরুদ্বার বাদু সাহেবের সঙ্গে হলঘরে রাখা হয়েছে।
সামাজিক কর্মী এবং পদ্মশ্রী পুরস্কারপ্রাপ্ত বাবা ইকবাল সিংয়ের মৃত্যুতে ইতিমধ্যেই শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Prime Minister Narendra Modi expressed grief over death of Baba Iqbal Singh)। একইসঙ্গে বলেছেন সাড়া দেশের যুবকদের শিক্ষিত করার জন্য তার প্রচেষ্টার জন্য তাকে সর্বদা স্মরণ করা হবে। একইসঙ্গে একটি টুইট বার্তায় মোদী লেখেন, “বাবা ইকবাল সিংয়ের মৃত্যুতে আমি গভীর ভাবে শোকাহত। তরুণদের শিক্ষিত করার ক্ষেত্রে তাঁর প্রচেষ্টার জন্য তিনি চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন।" এবার শোক প্রকাশ করলেন স্বয়ং রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ (President Ramnath Kovind)। শোক প্রকাশ করে টুইটারে তিনি লেখেন, "শ্রী ইকবাল সিং জির মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে শোকাহত। তিনি শিক্ষা, চিকিৎসা ও সমাজসেবার ক্ষেত্রে অসাধারণ অবদান রেখেছিলেন। তাঁর কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ, তিনি ২০২২ সালে পদ্মশ্রীর জন্য নির্বাচিত হন। তার পরিবার ও ভক্তদের প্রতি আমার গভীর সমবেদনা রইল।"
এদিকে ইকবাল সিংয়ের মৃত্যুতে ইতিমধ্যেই গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে শিক্ষা মহল ও সমাজকর্মীদের মধ্যেও। শনিবার দুপুর ২.১৫ মিনিটে তিনি তার কর্মভূমি বাদু সাহেবে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তাঁর মরদেহ গুরুদ্বার বাদু সাহেবের সঙ্গে হলঘরে রাখা হয়েছে। অসুস্থতার কারণে তিনি এক মাস ধরে চণ্ডীগড়ের ফোর্টিস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন বলে জানা যায়। গত পরশু তাকে হাসপাতাল থেকে বদু সাহেবে নিয়ে আসা হয়, সেখানে শনিবার তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৬ বছর। তাঁর শেষ ইচ্ছা ছিল বদু সাহেবের কাছে তার শেষকৃত্য করা হোক। সেই মতোই শেষকৃত্যের আয়োজন চলছে বলে জানা যায়। এদিকে মৃত্যুর মাত্র চার দিন আগে পদ্মশ্রী প্রাপক হিসাবে কেন্দ্র তাঁর নাম ঘোষণা করেছিল।
আরও পড়ুন- বাজেট অধিবেশনের শুরুতে থাকছে না 'জিরো আওয়ার' সেশন, কেন আচমকা সিদ্ধান্ত বদল কেন্দ্রের
১৯২৬ সালের ১ মে পঞ্জাবের গুরুদাসপুরে পিতা সানওয়াল সিং এবং মা গুলাব কৌরের সন্তান রূপে জন্ম নেন এই মহান পুরুষ। ছোটবেলা থেকেই মেধাবী ছাত্র হিসাবে পরিচিতি ছিল তাঁর। ছাত্র জীবনের প্রথমার্ধে কৃষি বিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রি এবং কৃষি বিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। হিমাচল প্রদেশ কৃষি বিভাগের পরিচালক পদ থেকে অবসর গ্রহণের পর তিনি বদু সাহেবে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে ২০০৮ সালে তিমি বদু সাহেবে Etarnal বিশ্ববিদ্যালয় এবং ২০১৫ সালে পাঞ্জাবের দমদমা সাহেবে আকাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন।
আরও পড়ুন- রামকৃষ্ণ মিশনে রাঁধুনি মৃত্যুর ঘটনায় নতুন মোড়, ধৃত মহারাজের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ আদালতের
বাবা ইকবাল সিং কার্যত একজন সাধুর জীবনযাপন করতেন। তিনি বিয়ে করেননি। সারাজীবন শিখ সম্প্রদায়ের সেবার জন্য কাজ চালিয়ে গিয়েছেন। হিমাচল প্রদেশ কৃষি বিভাগের পরিচালক পদ থেকে অবসর গ্রহণের পর ১৯৮২ সালে তিনি কালগিধর ট্রাস্ট বাদু সাহেব প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৮৬ সালে একটি ঘরে মাত্র পাঁচজন শিক্ষার্থী নিয়ে তিনি অকাল একাডেমি চালু করেন। বর্তমানে তাঁর ট্রাস্টের অধীনে সারা দেশে ১২৯টি অকাল একাডেমি এবং দুটি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। যেখানে প্রায় ৭০ হাজার শিক্ষার্থী শিক্ষা গ্রহণ করছে।
আরও পড়ুন-কমছে না দৈনিক মৃত্যু, দৈনিক সংক্রমণে ফের কতটা উদ্বেগ বাড়াল ভারত