সংক্ষিপ্ত

দেশের ৪৯তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হলেন উদয় উমেশ ললিত। ভারতের দ্বিতীয় বিচার বিভাগীয় প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হলেন তিনি। ১৯৭১ সালে ভারতের ১৩তম সিজেআই হয়ছিলেন বিচারপতি এস এম সিকরি। ১৯৬৪ সালে তিনি শীর্ষ আদালতের বেঞ্চে উন্নিত হন। সরাসরি শীর্ষ আদালতের বেঞ্চে উন্নিত হওয়া তিনিই প্রথম আইনজীবী।

দেশের ৪৯তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হলেন উদয় উমেশ ললিত। ভারতের দ্বিতীয় বিচার বিভাগীয় প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হলেন তিনি। ১৯৭১ সালে ভারতের ১৩তম সিজেআই হয়ছিলেন বিচারপতি এস এম সিকরি। ১৯৬৪ সালে তিনি শীর্ষ আদালতের বেঞ্চে উন্নিত হন। সরাসরি শীর্ষ আদালতের বেঞ্চে উন্নিত হওয়া তিনিই প্রথম আইনজীবী। 
বর্তমান প্রধান বিচারপতি এন ভি রামানার পদত্যাগের পরের দিন অর্থাৎ ২৭ অগাস্ট থেকেই প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব গ্রহণ করবেন ললিত। তবে মাত্র তিন মাসেরও কম সময় এই পদে থাকতে পারবেন তিনি। নিয়ম অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির অবসকালীন বয়স হয় ৬৫। 
১৯৫৭ সালের ৯ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন উদয় উমেশ ললিত। ১৯৮৩ সালে আইনজীবী হিসেবে নথিভূক্ত হন। ১৯৮৫ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত বম্বে হাইকোর্টে প্র্যাকটিস করেন তিনি। ২০১৪ সালের ১৩ অগাস্ট সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি নিযুক্ত হন। তার সময়কালে একের পর এক দৃষ্টান্তমূলক রায় দিয়েছেন তিনি। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল তিন তালাক প্রত্যাহার এবং তিন তালাককে 'অকার্যকর', 'অবৈধ' এবং 'অসাংবিধানিক' ঘোষণা করেন। 
২০১৯ সালে রাজনৈতিভাবে সংবেদনশীল বাবরি মসজিদ মামলার শুনানি থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করেছিলেন। 
তাঁর আর এক দৃষ্টান্তমূলক রায় হল পক্সো আইনের আওতায় 'স্কিন টু স্কিন' থিওরি বাতিল। হাইকোর্ট বলেছিল নিপীড়িতের সঙ্গে অভিযুক্তের সরাসরি ত্বকের যোগাযোগ না হলে অভিযুক্ত  দোষী সাব্যস্থ হবে না। এই রায় বাতিল করে ললিত বলেন যৌন আক্রমণের ক্ষেত্রে ত্বকের থেকে ত্বকের যোগাযোগের থেকেও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল যৌন অভিপ্রায়। 
2G স্পেকট্রাম বরাদ্দ মামলায় বিচার পরিচালনা করার জন্য তাকে সিবিআই-এর জন্য বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর নিযুক্ত করা হয়েছিল।