- Home
- India News
- নাগপুরের সাধার ছেলে থেকে 'ভারতের স্টিল ম্যান', জানুন ডঃ জামশেদ জে ইরানির বর্ণময় ৮৬ বছরের কাহিনি
নাগপুরের সাধার ছেলে থেকে 'ভারতের স্টিল ম্যান', জানুন ডঃ জামশেদ জে ইরানির বর্ণময় ৮৬ বছরের কাহিনি
- FB
- TW
- Linkdin
৮৬ বছরের জীবন একের পর এক সাফল্য। ব্রিটিশ আয়রন অ্যান্ড স্টিল রিসার্চ অ্যাসোসিয়েশনের হাত ধরে যে পথ চলা শুরু হয়েছিল তাঁর অবসান হয় ২০১১ সালে টাটা স্টিল-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর হিসেবে। কেমন ছিল এই দীর্ঘ যাত্রা? কী ভাবে পৌঁছলেন এই সাফল্যের শীর্ষে? জেনে নিন পদ্মভূষণ ডঃ জামশেদ জে ইরানির জীবনের কিছু কাহিনি।
১৯৩৬ সালে নাগপুরে জন্মগ্রহণ করেন ডঃ জামশেদ জে ইরানি। সেখানেই পড়াশোনা চলে তাঁর। ১৯৫৬ সালে নাগপুরের সায়েন্স কলেজ থেকে বিএসসি ডিগ্রি লাভ করেন ডঃ ইরানি। ১৯৫৮ সালে নাগপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জিওলজিতে এমএসসি করেন তিনি। এরপর জে এন টাটা স্কলারশিপ নিয়ে যুক্তরাজ্যের শেফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পাড়ি।
১৯৬৩ মেটালারজিতে পিএইচডি সম্পন্ন করেন জে জে ইরানি। একই বছরে কর্মজীবনে পা রাখেন তিনি। ব্রিটিশ আয়রন অ্যান্ড স্টিল রিসার্চ অ্যাসোসিয়েশনের হাত ধরে শুরু পেশাগত জীবন। ছ'বছরের মধ্যেই দেশে ফিরে আসেন ডঃ ইরানি।
১৯৬৮ থেকে টাটা গ্রুপের সঙ্গে পথচলা শুরু। ডিরেক্টর-ইন-চার্জের সহকারী হিসেবে যোগ দেন টাটা আয়রন অ্যান্ড স্টিল কোম্পানিতে (বর্তমানে টাটা স্টিল নামে পরিচিত)। তারপর কেটে গিয়েছে দীর্ঘ ৩৩ বছর। টাটা গোষ্ঠীর সঙ্গে ক্রমেই জড়িয়ে গিয়েছে ডঃ ইরানির নাম। ডঃ জামশেদ জে ইরানি থেকে হয়ে উঠেছেন 'ভারতের স্টিল ম্যান'।
আর ফিরে তাকাতে হয়নি ডঃ ইরানিকে। পর পর পদোন্নতি। অল্প সময়ের মধ্যে পৌঁছছেন সফলতার শীর্ষে। ১৯৭৮ সালে টাটার সংস্থায় জেনারেল সুপারিন্টেন্ডেন্ট পদে দায়িত্ব পান তিনি। পরের বছরই ফের পদোন্নতি। ১৯৭৯ একই সংস্থায় জেনারেল ম্যানেজারের পদ গ্রহণ করেন তিনি। ১৯৮৫ টাটা স্টিল-এর প্রেসিডেন্ট হন জে জে ইরানি। এরপর ১৯৮৮ টাটা স্টিলে জয়েন্ট ম্যানেজিং ডিরেক্টর হন।
১৯৯২ টাটা স্টিল-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর পদে উন্নতি। অবশেষে ২০১১ সালে ম্যানেজিং ডিরেক্টরের পদ থেকে অবসর নেন তিনি। ১৯৯৮ রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ নাইটহুড সম্মানে সম্মানিত করেন তাঁকে। পরে ভারত সরকারের কাছ থেকে মিলেছে পদ্মভূষণ সম্মান।
৮৬ বছরের যাত্রা শেষ করে সোমবার রাতে না ফেরার দেশে পাড়ি দিলেন পদ্মভূষণ ডঃ জামশেদ জে ইরানি। টাটা গ্রুপের এককালের একাধিক কোম্পানির পরিচালকের মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত টাটা গোষ্ঠি-সহ গোটা দেশ। শোকপ্রকাশ করলেন রাজীব সোনিও। নেটমাধ্যমে রাজীব লিখলেন, "আমরা এক কিংবদন্তিকে হারালাম। একটি যুগের অবসান ঘটল।"
ডঃ ইরানির মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত তাঁর এককালীন সতীর্থ রাজীব সোনি। নেটমাধ্যমে রাজীবের একটি পোস্টে উঠে এল তাঁদের দীর্ঘ যাত্রাপথের কথা। পারস্পরিক হৃদ্যতার কথা।
পদ্মভূষণ ডঃ জামশেদ জে ইরানির সঙ্গে দীর্ঘদিন কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে পথ চলেছেন রাজীব সোনি। সতীর্থর মৃত্যুতে রাজীবের স্মৃতিচারণায় উঠে এল দীর্ঘ কর্ম জীবনের নানা মৃতি। উঠে এল নানা অজানা তথ্য।
ডঃ জে জে ইরানির মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করে টুইট করা হয়েছে টাটা স্টিল তার অফিসিয়াল হ্যান্ডেল থেকে। টুইটে লেখা হয়েছে,"পদ্মভূষণ ডঃ জামশেদ জে ইরানির মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। ভারতের 'স্টিল ম্যান' হিসেব পরিচিত তিনি। টাটা স্টিল পরিবার তার পরিবার এবং প্রিয়জনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছে।"