সংক্ষিপ্ত
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সায়মা ওয়াজেদ অর্টিজেম নিয়ে কাজের জন্য রীতিমত পরিচিত। তাঁর কাজ বিশ্বের একাধিক দেশে প্রশংসিত।
ভারতের সামনে উভয় সংকট । এক দিকে বাংলাদেশ, অন্য় দিকে নেপাল। দুই প্রতিবেশী দেশের সঙ্গেই সুসম্পর্ক রয়েছে ভারতের। কারণ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক পদের জন্য নির্বাচন আসন্ন। তাতেই একজন প্রার্থী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেমে সায়মা ওয়াজেদ। অন্যজন নেপালের শম্ভু প্রসাদ আচার্য।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সায়মা ওয়াজেদ অর্টিজেম নিয়ে কাজের জন্য রীতিমত পরিচিত। তাঁর কাজ বিশ্বের একাধিক দেশে প্রশংসিত। অন্যদিতে শম্ভুনাথ আচার্য। তিনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একজন অভিজ্ঞ কর্তা। যিনি টেড্রোস ঘেব্রেইসাসের অফিসে একজন পরিচালক। যদিও এই বিষয়ে এখনও নীরব ভারত। সূত্রের খবর আগামী ৩০ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বরের মধ্যে নতুন দিল্লিতে একটি রুদ্ধদ্বার অধিবেশনেই গোপন ব্যাটলের মাধ্যমে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। দক্ষিণ এশিয়ার জন্য WHO অফিস ছয়টি আঞ্চলিক ইউনিটের একটি এবং সদস্য দেশগুলি হল বাংলাদেশ, ভুটান, উত্তর কোরিয়া, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড এবং তিমুর-লেস্তে।
যদিও ওয়াকিবহাল মহল জানিয়েছে, এই পদে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কন্যা সংখ্যাগরিষ্ট সমর্থেনে জয়ী হবে। ভারতও বাংলাদেশের প্রতিনিধিকেই সমর্থন জানাবে। তবে নতুন দিল্লি এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও কিছুই জানায়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দিল্লির এক কর্তা জানিয়েছেন, জনস্বাস্থ্য ইস্যুতে প্রার্থীদের দক্ষতা গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু বাস্তবতা হল যে জাতিসংঘ এবং ডব্লিউএইচও-এর অধীনে বহুপাক্ষিক সংস্থাগুলিতে এই ধরনের অনেক নির্বাচন আংশিকভাবে ভূ-রাজনৈতিক বিবেচনার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বর্তমান আঞ্চলিক পরিচালক হলেন ভারতের পুনম ক্ষেত্রপাল সিং। তিনি প্রথম মহিলা যিনি এই পদে আসীন। ২০১৮ সালে সর্বসম্মতভাবে পুনঃনির্বাচিত হয়েছিল। এটি তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদ। পাঁচ বছরের মেয়াদ। যদিও একটি সূত্রের মতে ২০২১ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীঢাতা সফরের সময়ই সায়মাকে সমর্থন জানানোর বিষয়ে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। বাংলাদেশও একটি যৌথ বিবৃতিতে সমর্থন জানানোর জন্য ভারতকে ধন্যবাদ জানিয়েছিল। যদিও তারপর যমুনা দিয়ে অনেক জল চলে গেছে। বদলে যেতে পারে দিল্লির রণকৌশল। কারণ নেপালের প্রার্থীও যথেষ্ট যোগ্য।