দেশি বীজের বিশেষত্ব: দেশি বীজের বিশেষত্ব কী? জানুন দেশি বীজের গুণাবলী, সহজ চাষাবাদ, ভালো স্বাদ, মাটির উর্বরতা এবং কৃষক দিবস সম্পর্কিত সব তথ্য।

বাজারে বিভিন্ন জাতের বীজ পাওয়া যায়। কৃষকরা আবহাওয়া অনুযায়ী কম জমিতে চাষের জন্য দেশি বীজ ব্যবহার করেন। দেশি বীজ যেমন মাটির উর্বরতা বাড়াতে কাজ করে, তেমনই এই বীজ থেকে উৎপন্ন ফসলের স্বাদও খুব ভালো হয়। ২৩শে ডিসেম্বর কৃষক দিবস পালিত হয়। এই বিশেষ দিনে, চলুন জেনে নেওয়া যাক কেন কৃষকরা জৈব চাষের জন্য দেশি বীজ ব্যবহার করেন।

চাষ করা সহজ

দেশি বীজ সেই এলাকার আবহাওয়া, মাটি এবং জলের সঙ্গে সহজেই খাপ খাইয়ে নিতে পারে। কৃষকরা আবহাওয়া অনুযায়ী দেশি বীজ ব্যবহার করেন যাতে ফসল সহজে বেড়ে ওঠে।

বেশি সেচের প্রয়োজন হয় না

দেশি বীজের জন্য বেশি সেচ, রাসায়নিক সার বা কীটনাশকের প্রয়োজন হয় না, যার ফলে জৈব ফসল তৈরি হয়। এই ধরনের ফসল পুষ্টিগুণে ভরপুর থাকে।

ফসল সহজে নষ্ট হয় না

মানুষের যেমন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকে, ঠিক তেমনই গাছেরও থাকে। দেশি বীজের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি হওয়ায় ফসল সহজে নষ্ট হয় না। বাড়ির বাগানেও যদি দেশি বীজ ব্যবহার করা হয়, তবে তা সহজে নষ্ট হবে না।

স্বাদ ও গন্ধের দারুণ মেলবন্ধন

কৃষকরা সুস্বাদু সবজি ও ফল ফলাতেও দেশি বীজ ব্যবহার করেন। উদাহরণস্বরূপ, দেশি ধনেপাতার খুব সুন্দর গন্ধ থাকে। অন্যদিকে, হাইব্রিড ধনেপাতায় স্বাদ ও গন্ধ দুটোই কম থাকে।

জৈব চাষের জন্য দেশি বীজ

আজকাল জৈব চাষকে খুব উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। এর প্রধান কারণ হলো দেশি বীজে রাসায়নিকের ব্যবহার প্রায় নেই বললেই চলে। এতে মাটির উর্বরতা বাড়ে এবং সুস্বাদু ফল ও সবজি উৎপাদিত হয়। আজকাল উচ্চবিত্ত সমাজে জৈব চাষে উৎপাদিত ফল ও সবজির খুব চাহিদা রয়েছে।

জমির অবক্ষয় রোধ করে

দেশি বীজ এবং জৈব চাষের মাধ্যমে জমির অবক্ষয় রোধ করা যায়। আপনিও যদি আপনার কিচেন গার্ডেনে দেশি বীজ ব্যবহার করেন, তাহলে ভালো ফল ও সবজি খেতে পারবেন।