ওজন কমাতে খালি পেতে চিয়া সীড বা পাতিলেবুর জল খান অনেকেই, তবে জানেন কি আপনার শরীরের জন্য কোনটি সবচেয়ে ভালো? এদের কোনোটাতে আপনার ক্ষতি হচ্ছে না তো?

আজকাল সকলেই চেষ্টা করে স্বাস্থ্য সচেতন হতে। নিয়মিত ব্যায়াম বা ডায়েট না করতে পারলেও সকালে খালি পেটে লেবুর জল খান, আবার অনেকেই চিয়া সীড ভেজানো জলও খান। এই দুটি পদ্ধতিই ওজন কমাতে সহায়ক, এবং যথেষ্ট কর্যকরী উপকারিতাও আছে। তবে প্রশ্ন উঠতেই পারে কোন পদ্ধতিটি সবচেয়ে বেশি কার্যকরী? বা কোনোটিতে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকে কিনা। চলুন জেনে নেয়া যাক এবিষয়ে বিস্তারিত।

চিয়া সীড আর লেবুর রস - কোনটিতে ওজন কমে দ্রুত? চিয়া সীড নাকি লেবুর জল?

চিয়া সীড আসলে সুপারফুড। চিয়া সীড আসলে গ্লুটেনমুক্ত, ভিটামিন, খনিজ, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে, যা রক্তে শর্করার মাত্রা ভারসাম্য রাখে, হৃদরোগ প্রতিরোধ করে, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে, সাথে ত্বকের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখে। এছাড়াও ফাইবার থাকায় কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমে।

অন্যদিকে, পাতি লেবুর রস শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। তাহলে বেশি উপকারী কোনটি?

চিয়া সীডের উপকারিতা :

১. চিয়া সীডে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে যা শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। ২. চিয়া সীডে ফাইবার থাকে যা কোষ্টকাঠিন্য কমাতে সাহায্য করে। হজমক্রিয়া ভালো রাখে, ফলে অতিরিক্ত মেদ জমতে দেয় না। ৩. ১০০ গ্রাম চিয়া সীডে ১৬.৫ গ্রাম প্রোটিন থাকে, যা অনেক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখে। ফলে বার বার খিদে পাওয়ার সমস্যা হয় না। ৪. চিয়া সীড শরীরে জলের ঘাটতি পূরণ করে কিছুটা। তাই রাতেও যদি ঘুমোনোর আগে চিয়া সীড ভেজানো জল খান, সারা রাতের জলের ঘাটতি পূরণ করবে এটি।

* তবে চিয়া সীডে পেট ফাঁপার মতো সমস্যা হতে পারে।

পাতি লেবুর উপকারিতা :

১. লেবুতে ভিটামিন সি থাকে প্রচুর পরিমাণে, তাই লেবু মেশানো জল খেলে পৌষ্টিকতন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। ২. পাতিলেবুতে ফাইবার অ্যাসিডের পরিমান বেশি থাকে যা মেদ গলাতে সাহায্য করে। ৩. পাতিলেবুতে থাকা ভিটামিন সি দাঁত ও মাড়ির জন্য উপকারী। এছাড়াও এতে থাকা অ্যাসিড দাঁত পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। ফলে মুখে দুর্গন্ধ হয় না।

* তবে অতিরিক্ত লেবুর জলে দাঁতের এনামেল ক্ষয়ে যেতে পারে।

সুতরাং, পাতিলেবুর রস মেশানো জল এবং চিয়া সীড ভেজানো জল - দুয়েরই উপকারও আছে, অপকারও আছে। তাই কী ধরণের ডায়েট করতে চাইছেন এবং আপনার শরীরের ধরণের ওপর নির্ভর করে কোনটা খাওয়া উচিত, তার পরামর্শ পুষ্টিবিদ বা চিকিৎসকের থেকে নেওয়াই ভালো।