সংক্ষিপ্ত

ভারত ও নাইজেরিয়ার সম্পর্ক অনেক পুরনো। ভারত ১৯৫৮ সালে নাইজেরিয়াতে তার দূতাবাস খুলেছিল, যা নাইজেরিয়া স্বাধীন হওয়ার দুই বছর আগে। উভয় দেশের বৃহৎ জনসংখ্যা, বহু-ধর্মীয় ও বহু-সাংস্কৃতিক সমাজ এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা তাদের স্বাভাবিক অংশীদার করে তুলেছে।

গত ১৭ বছরে এই প্রথম কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নাইজেরিয়া সফর করছেন। এই সফরটি নাইজেরিয়ার সাথে তার দীর্ঘস্থায়ী এবং গভীর সম্পর্ককে আরও উন্নত করার জন্য ভারতের প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত করে। ১৬ এবং ১৭7 নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নাইজেরিয়া সফর দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

ভারত ও নাইজেরিয়ার সম্পর্ক অনেক পুরনো। ভারত ১৯৫৮ সালে নাইজেরিয়াতে তার দূতাবাস খুলেছিল, যা নাইজেরিয়া স্বাধীন হওয়ার দুই বছর আগে। উভয় দেশের বৃহৎ জনসংখ্যা, বহু-ধর্মীয় ও বহু-সাংস্কৃতিক সমাজ এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা তাদের স্বাভাবিক অংশীদার করে তুলেছে। ভারত বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র এবং নাইজেরিয়া আফ্রিকার বৃহত্তম গণতন্ত্র।

ঐতিহাসিক সম্পর্ক এবং কৌশলগত অংশীদারিত্ব

২০০৭ সালে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ডঃ মনমোহন সিংয়ের সফরের সময় ভারত-নাইজেরিয়া সম্পর্ককে "কৌশলগত অংশীদারিত্ব"-এর মর্যাদা দেওয়া হয়েছিল। এরপর থেকে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, প্রতিরক্ষা ও বাণিজ্যের ক্ষেত্রে দুই দেশের সম্পর্ক ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভারতীয় শিক্ষক ও চিকিৎসকরা নাইজেরিয়ায় শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। ভারতীয় প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারাও নাইজেরিয়ার ন্যাশনাল ডিফেন্স একাডেমি এবং নেভাল ওয়ার কলেজ প্রতিষ্ঠায় সাহায্য করেছেন, যা দুই দেশের মধ্যে আস্থার সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করেছে।

অর্থনৈতিক ও উন্নয়ন সহযোগিতা

নাইজেরিয়ায় প্রায় ৬০ হাজার ভারতীয়দের একটি সম্প্রদায় রয়েছে, যা পশ্চিম আফ্রিকার বৃহত্তম। এই ভারতীয়রা সেখানকার অর্থনীতিতেও উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে। নাইজেরিয়াতে প্রায় ২০০টি ভারতীয় কোম্পানি কাজ করছে, যারা প্রায় ২৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে। ভারতীয় কোম্পানিগুলি নাইজেরিয়ায় সরকারের পরে সবচেয়ে বড় নিয়োগকর্তা, যা সেখানে কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়িয়েছে।

স্বাস্থ্য ও শিক্ষার মধ্যে সম্পর্ক

নাইজেরিয়ান নাগরিকদের জন্য উচ্চ শিক্ষা এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারত একটি প্রধান গন্তব্য। অনেক নাইজেরিয়ান ছাত্র ভারত-আফ্রিকা ফোরাম সামিট, ICCR এবং ই-বিদ্যা ভারতী এবং ই-আরোগ্য ভারতীর মতো প্রোগ্রামগুলির মাধ্যমে প্রতি বছর বৃত্তি পায়। এটি দুই দেশের সাংস্কৃতিক ও ব্যক্তিগত সম্পর্ককেও গভীর করে।

ভারত-নাইজেরিয়া সম্পর্কের নতুন অধ্যায়

প্রধানমন্ত্রী মোদির এই সফর আফ্রিকায় ভারতের ভূমিকাকে আরও শক্তিশালী করার একটি বড় পদক্ষেপ। এই সফরের মাধ্যমে, ভারত ও নাইজেরিয়া তাদের অর্থনৈতিক, কূটনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করবে, যা উভয় দেশের যৌথ উন্নয়ন ও সহযোগিতাকে আরও গভীর করবে।