সংক্ষিপ্ত
মোদীর জনপ্রিয়তা শুধু এই একটি ফ্যাক্টরের উপর নির্ভর করে নেই। বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের প্রধানমন্ত্রী, বা তিনি যে বিভিন্ন দেশে সফর করেন তার উপরও নির্ভরশীল নয়।
সোশ্যাল মিডিয়ায় লক্ষ্যাধিক ফলোয়ার্স, টুইটারে ফলোয়ার্সের সংখ্যা ৮৯.৫ মিলিয়ন। এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে বিশ্বের জনপ্রিয়তম নেতার দাবিদার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু কী কারণে বিশ্ব জুড়ে এই বিপুল জনপ্রিয়তা? দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস-এর একটি রিপোর্ট অনুযায়ী এই জনপ্রিয়তার জন্য অনেকটাই রেডিও অনুষ্ঠান 'মন কি বাত'-কে কৃতিত্ব দেওয়া হয়েছে। এই অনুষ্ঠানকে 'কমিউনিকেশন ফ্রম দ্য হার্ট' বলেও আখ্যা দেওয়া হয়েছে। এই রিপোর্ট অনুযায়ী এই অনুষ্ঠান একটি জাতিকে অহ্বানের জন্য করা হয়।যা স্থানীয়কে জাতীয় এবং বিশ্বব্যাপী সংযুক্ত করে। প্রতি মাসে প্রচারিত প্রোগ্রামটি প্রধানমন্ত্রী মোদিকে প্রতিটি ইতিবাচক ঘটনা, বড় বা ছোট, এবং প্রতিটি সমাধান, বাস্তব বা আধ্যাত্মিক ঘটনার সঙ্গে যুক্ত করে।
তবে মোদীর জনপ্রিয়তা শুধু এই একটি ফ্যাক্টরের উপর নির্ভর করে নেই। বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের প্রধানমন্ত্রী, বা তিনি যে বিভিন্ন দেশে সফর করেন তার উপরও নির্ভরশীল নয়। এর কারণ অনেকাংশেই দেশের মানুষের উপর তার প্রভাবের কারণে এবং স্পষ্টতই, আমাদের উপর, ভারতীয়দের উপর এবং তার নীতির উপর ভিত্তি করে। মাসে একবার, প্রধানমন্ত্রী মোদী তার সরকারি বাংলোতে স্থাপিত একটি স্টুডিওতে যান এবং একটি মাইক্রোফোনের পিছনে বসেন এবং তার রেডিও শো শুরু করেন, যার জন্য তিনি হিন্দিতে একটি স্বাভাবিক অভিবাদন 'আমার প্রিয় দেশবাসী'- সহ ১০০ টিরও বেশি পর্ব রেকর্ড করেছেন। বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশটিতে প্রধানমন্ত্রী মোদির প্রায় 30 মিনিটের অন-এয়ার হোস্ট হিসেবে যা ঘটেছিল তা হল তিনি ভারতের বিশালতা জুড়ে নিজেকে নিবিড়ভাবে সর্বব্যাপী করে তুলেছেন, এমন জাতীয় কল্পনাকে ধরে রেখেছেন যা তার সরকারের ভারতের ক্ষয়ের সমালোচনার জন্য দুর্ভেদ্য বলে মনে হয়।
প্রধানমন্ত্রী মোদীর আমেরিকা সফর এই মুহূর্তে আন্তর্জাতিক মহলে বিশেষ চর্চার বিষয়। মার্কিন মুলুকে মোদীকে স্বাগত জানিয়েছেন সে দেশের রাজনৈতিক কুশলীরা। শুধু তাই নয় মোদীকে স্বাগত জানাতে পেরে আপ্লুত তাঁরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রসংশার ঝড় বইয়ে দিলেন আমেরিকার একাধিক নেতা। মার্কিন নেতা ব্রায়ান ফিটজপ্যাট্রিক মোদীর আমেরিকা সফর প্রসঙ্গে টুইটারে লিখেছেন,'আমার বন্ধু নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে এখানে পেয়ে আমরা সম্মানিত। আমাদের ক্যাপিটলে তাঁকে স্বাগত জানাই।' স্টিভ ডেইনস টুইট বার্তায় লিখেছেন,'বেশ কিছু বছরের আলোচনার পর অবশেষে ফসলের উপর শুল্ক কমানোয় ভারতের সিদ্ধান্তে আমরা অত্যন্ত খুশি। এটা একাধারে যেমন কৃষকদের জন্য লাভজনক, তেমনই ভারত-আমেরিকা সম্পর্কের জন্যও হিতকর।'