সংক্ষিপ্ত

নতুন টুইট রাহুল গান্ধীর। আদানির সংস্থায় কেন জনগণের টাকা রাখা হয়েছে- তা নিয়ে কেন তদন্ত হয়নি বলে প্রশ্ন তুলে মোদীকে কটাক্ষ।

 

সাংসদ পদ খারিজ হয়ে গেছে। কিন্তু এখনও মুখ বন্ধ করতে নারাজ রাহুল গান্ধী। সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করে আদানি ইস্যুতে নতুন টুইট কংগ্রেস নেতার। সাংসদ না থাকার পর এবার শুধুমাত্র সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেই তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদীকে সরাসরি প্রশ্ন করতে পারবেন। সোমবার রাহুল গান্ধী মোদীকে জিজ্ঞাসা করেন , একাধিক অভিযোগ ওঠার পরেও আদানি গোষ্ঠীতে দেশের মানুষের টাকা খাটানো নিয়ে কেন এখনও পর্যন্ত কোনও তদন্ত হয়নি।

টুইটারে রাহুল গান্ধী বলেন, 'এলআইসি-র পুঁজি আদানিদের কাছেষ এসবিআই-এর পুঁজি আদানিদের কাছে, ইপিএফও-র পুঁজি আদানিদের কাছে! কেন দেশের অবসর নেওয়া মানুষের টাকা আদানিদের সংস্থায় বিনিয়োগ করা হয়েছে তা কি এবার বলবেন "মোদানি"?' এর পরই রাহুল গান্ধী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী, তদন্ত নেই উত্তরও নেই। এত ভয় কেন? রাহুল গান্ধী দীর্ঘ দিন ধরেই প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে গৌতম আদানির ঘনিষ্ঠতা রয়েছে বলেও অভিযোগ করে আসছেন। সংসদে দাঁড়িয়ে একাধিক প্রমাণও দাখিল করেছেন। তবে সংসদ পদ খারিজ হয়ে যাওয়ার পরে রাহুল যে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সুর আরও চড়াচ্ছে তা স্পষ্ট এই টুইটে। তিনি তাঁর টুইটে মোদীকে কঠাক্ষ করেন আদানিদের সঙ্গে মিলিয়ে বলেছেন মোদানি।

জানুয়ারি মাসে হিন্ডেনবার্গ রিপোর্ট প্রকাশ পাওয়ার পর থেকেই আদানি সংস্থাকে আক্রমণের কেন্দ্র তৈরি করেছেন রাহুল গান্ধী। আদানিদের সংস্থাকে নিয়ে একের পর একা বিষয়ে আক্রমণ করে যাচ্ছে। হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টের পর থেকেই রাহুল জালিয়াতির অভিযোগ নিয়ে আরও বেশি সুর চড়িয়েছেন। তিনি বলেছেন দেশের মানুষের টাকা নিয়ে আদানিদের সংস্থায় খাাটান হচ্ছে, যা দেশের মানুষের আর্থিক সুরক্ষাকে বিঘ্নিত করছে। আদানি ইস্যুতে যৌথ সংসদীয় কমিটির তদন্তেরও দাবি জানিয়েছে কংগ্রেস। কিন্তু তা এখনও মেনে নেয়নি শাসক দল।

অন্যদিকে রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ হয়ে গেছে। তিনি আর সাংসদ নন। সুরাটের আদালত তাঁকে মানহানি মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে দুই বছরের কারাদণ্ডের সাজা দিয়েছে। তারপরই সংসদে সচিবালয় রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ করে দিয়েছে। যদিও সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাহুল গান্ধী বলে ছিলেন তিনি তিনি জেলে যেতে ভয় পান না বলেও জানিয়েছেন। শনিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাহুল গান্ধী আবারও আদানি ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করেন রাহুল গান্ধী। তাঁর প্রথম প্রশ্নই ছিল আদানিদের সেল কোম্পানিকে ২০ হাজার কোটি টাকা কে লাগিয়েছে? সংসদে দাঁড়িয়ে রাহুল গান্ধী যেভাবে আদানি ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে যেভাবে আক্রমণ করেন এদিনই সেই এদিনই ভঙ্গিতে আক্রমণ করেন। তিনি বলেন তাঁর বক্তব্য মুছে ফেলা হয়েছে সংসদের রেকর্ড থেকে। তারপরই তিনি আবারও সাংবিদিকদের বলেন বর্তমানে ভারতের গণতন্ত্র বিপন্ন।

এদিন রাহুল গান্ধী আরও বলেন, 'আমি ভীত নই, আজীবনের জন্য অযোগ্য হওয়া বা জেলে যাওয়ার জন্য।' রাহুল গান্ধী আরও বলেন, তাঁর কণ্ঠস্বর স্বস্ত করার জন্যই তাঁর সাংসদ পদ খারিজ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন পার্লামেন্টের নিয়ম অনুযায়ী তাঁকে কথা বলতে দেওয়া হয়নি। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদী ও আদানির সম্পর্ক কী তা জানতে চান তিনি। তিনি আরও বলেন, তাঁর সাংসদ পদ খারিজ হয়ে গেলেও তিনি কেন্দ্রীয় সরকারকে প্রশ্ন করা থেকে পিছিয়ে আসবে না। তিনি আরও বলেন তাঁর বক্তব্য কেন মুছে ফেলা হয়েছে তা নিয়েও স্পিকারের চিঠি লিখেছেন। কিন্তু কোনও উত্তর পাননি বলেও জানিয়েছেন তিনি।