সংক্ষিপ্ত
বিপাকে রাহুল গান্ধী। সুরাটের আদালত মানহানি মামলায় রাহুল গান্ধীকে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার ওপর স্থগিতাদের দেয়নি। এবার গুজরাট হাইকোর্টের দ্বারস্থ হবেন রাহুল গান্ধী।
গুজরাটের সুরাটের আদালত বৃহস্পতিবার কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর মানহানির মামলায় দোষী স্থাব্যস্ত হওয়ার বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশের আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে। পাশাপাশি কারণও জানিয়েছে সুরাটের আদালত। আদালতের পর্যবেক্ষণ 'রাহুল গান্ধী একজন সাংসদ আর সেই কারণে তাঁর কথাবার্তা আরও সংযত হওয়ার প্রয়োজন।' পাশাপাশি আদালত বলেছে রাহুল গান্ধী দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম দলের সাংসদ সদস্য ও তৎকালীন কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট ছিলেন। সেই কারণ দেখিয়েই সুরাটের অতিরিক্ত দায়রা আদালত তাঁর মোদী পদবী মন্তব্যের জন্য ২০১৯ সালে দায়ের হওয়া মামহানির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার ওপর স্থগিতাদেশ দিতে চায়নি। দ
আদালতের মন্তব্যঃ
আপিলকারীর মতো এতজন ব্যক্তির কাছ থেকে নৈতিকতার মান আরও উন্ননত যাতে হয় তাই প্রত্যাশা করা হয়। বিচারক বলেছেন, ট্রায়ালকোর্ট যে সাজা দিয়েছে তা আইন অনুমোদিত।
সুরাটের মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্টেট আদলত ২৩ মার্চ রাহুল গান্ধীকে বিজেপি বিধায়ক পূর্ণেশ মোদীর দায়ের করা মামলায় ফৌজদারী মানহানির জন্য ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৯ ও ৫০০ নম্বর ধারায় দোষী সাব্যস্ত করার পরে তাঁকে দুই বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিতে পারে। এই রায়ের একদিন পরেই ৫২ বছর বয়সী রাহুল গান্ধীর সাংসদ সদস্যপদ খারিজ হয়ে যায়। তাঁকে সাংসদ কোটায় পাওয়া বাংলো ছাড়তে হয়।
আদালতের আদেশ
সুরাটের অতিরিক্ত দায়েরা আদালত আরও পর্যবেক্ষণ করেছে যে জনপ্রতিনিধিত্ব আইন ১৯৫১ -এর ধারা ৮(৩)এর অধীনে সাংসদ হিসেবে রাহুল গান্ধীর সাংসাদ পদ খারিজকে অপুরণীয় ক্ষতি হিসেবে চিহ্নিত করা যায় না। অতিরিক্ত দায়রা জজ আরপি মোগেরার আদালত বলেছেন, আবেদনকারীর মুখ থেকে আসা কোনও মানহানিকর শব্দ একজন সংক্ষুব্ধ ব্যক্তির মানসিক যন্ত্রণার জন্য যথেষ্ট। মানহানিকর শব্দের উচ্চারণ করে ও মোদী উপাধিকারী ব্যক্তিদের চোরের সঙ্গে তুলনা করা অবশ্যই মানসিক যন্ত্রণার কারণ হতে পারে। অভিযোগকারী পূর্ণেশ মোদীর সুনামকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে যিনি সামাজিকভাবে সক্রিয় জনসমক্ষে তুলে ধরেছেন। আদালত আরও বলেছে, আপিলকারী বা আবেদনকারী কৌঁসুলি প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছ। রাহুল গান্ধীকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার সুযোগ না দেওয়া তাঁর জন্য আরও একটি অপুরণীয় ক্ষতি।
আদালত আরও বলেছে, সম্প্রদায়ের খ্যাতি নাও থাকতে পারে। তবে খ্যাতি শুধুমাত্র পৃথক সদস্যদের হবে। যখন মানহানিকর বিষয়ে একটি নিশ্চিত শ্রেণী বা গোষ্ঠীর প্রতিটি সদস্যকে প্রভাবিত করে তখন তাদের প্রত্যেক বা তাদের প্রত্যেকেই আইনটি গতিশীল করতে পারে।
ট্রায়াল কোর্টের করা প্রাথমিক প্রমাণ এবং পর্যবেক্ষণের দিকে তাকালে, এটা বোঝা যায় যে গান্ধী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে সাধারণ জনগণের মধ্যে কিছু অবমাননাকর মন্তব্য করেছিলেন এবং আরও 'মোদী' উপাধিধারী ব্যক্তিদের চোরের সাথে তুলনা করেছিলেন, আদালত পর্যবেক্ষণ করেছে।
তবে এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রাহুল গান্ধী গুজরাট হাইকোর্টের দ্বারস্থ হবেন বলেও জানিয়েছেন আইনজীবী।
আরও পড়ুনঃ
সুরাট আদালত থেকে রাহুল গান্ধীর বড় ধাক্কা, আবেদন খারিজ-সাজা স্থগিত হবে না
চিদাম্বরম পুত্র কার্তির ১১ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি, তালিকায় রয়েছে চারটি সম্পত্তি
পুলওয়ামা হামলা নিয়ে কংগ্রেসের ৭ প্রশ্নে নিশানায় মোদী সরকার, শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি