সংক্ষিপ্ত

  • দিল্লির হিংসা নিয়ে একপেশে প্রতিবেদন
  • অভিযোগ উঠল উইকিপিডিয়ার বিরুদ্ধে
  •  টুইটারে এই নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন বহু মানুষ
  •  বিষয়টি দেখার জন্য রবি শংকর প্রসাদকে অনুরোধ 

দিল্লির হিংসা নিয়ে একপেশে প্রতিবেদন প্রকাশের অভিযোগ উঠল উইকিপিডিয়ার বিরুদ্ধে। টুইটারে এই নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন বহু মানুষ। অবিলম্বে বিষয়টি দেখার জন্য তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী রবি শংকর প্রসাদকে অনুরোধ জানালেন টুইটারাতিরা। 

— THE SKIN DOCTOR (@theskindoctor13) March 1, 2020

সবার অভিযোগ, উত্তর পূর্ব দিল্লির হিংসায় হিন্দু ,মুসলিম দু জনেরই ক্ষতি হয়েছে। অথচ এই হিংসার পিছনে মোদী সরকারকে কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে। বিষয়টিকে এমনভাবে দেখানো হয়েছে,যাতে মনে হচ্ছে-এই হিংসায়  হিন্দুরা মুসলিমদের ওপর অত্যাচার করেছে। অথচ মৃত্যু মিছিলের দিকে তাকালেই বোঝা  যাচ্ছে, দু তরফেরই লোক এই হিংসায় আক্রান্ত হয়েছেন।  এ বিষয়ে উইকিপিডয়ার #DelhiRiot2020 আর্টিকেল এডিট করতে গেলেও তা করতে দিচ্ছে না উইকি। কেবল মাত্র কয়েকটা লাইন এডিট করেই ছেড়ে দিয়েছে তারা। যার জেরে বিশ্বের সবাই দিল্লির হিংসায় হিন্দুদের হাত দেখতে পাচ্ছে। 

পিস্তল নিয়ে অমিত শাহের সভায় ব্যক্তি, জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ

দ্য স্কিন ডক্টর-এর অ্যাকাউন্ট থেকে উইকির বিরুদ্ধে প্রথম এই অভিযোগ ভিডিয়োটি প্রকাশ কারা হয়। আসলে টাইম ও ফোর্বস ম্যাগাজিনে লেখা রানা আয়ুবের লেখার ওপর ভিত্তি করেই এই প্রতিবেদনটি রেখে দিয়েছে উইকিপিডিয়া। যেখানে দেখানো হয়েছে,কেন্দ্রীয় সরকারের সমর্থেনে বিজেপি নেতা কপিল মিশ্রের উস্কানিমূলক মন্তব্য়ের পরই দিল্লিতে হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। যেখানে হিন্দুরা তিলক লাগিয়ে জয় শ্রীরাম বলে মুসলিমদের হত্য়া করেছে। কিন্তু আদতে উত্তরপূর্ব দিল্লির হিংসায় ক্ষতি হয়েছে হিন্দু-মুসলিম সবারই।  

দিদিকে বলো-তে ফোন করার ডাক, মঞ্চ থেকে এ কী বললেন অমিত শাহ

অনলাইন দুনিয়ার চিত্র বলছে, তত্য পাওয়ার ক্ষেত্রে সব সময় সঠিক খবর নাও দিতে পারে উইকিপিডিয়া। সেই জন্য় এর মধ্য়ে এডিট করার সুযোগ দেওয়া রয়েছে। সাধারণ যে কেউ উইকিতে প্রতিবেদন ভুল মনে হলে পরিবর্তন করতে পারে। কিন্তু সেখানেও কিছু বিধি নিষেধ রয়েছে। কারণ এডিট করার পর সেই আর্টিকেল দেখার জন্য রয়েছেন সিনিয়র এডিটররা। তারাই ঠিক মনে করলে প্রতিবেদন পরিবর্তন হতে দেন। অন্যথায় আগের আর্টিকেলই বজায় রাখে উইকিপিডিয়া। টুইটারাতিদের অভিযোগ, দিল্লি হিংসার ক্ষেত্রেও এমনটাই করা হয়েছে।