তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সংসদে সুস্ঠু অধিবেশন চলবে কিনা তা ঠিক হচ্ছে কংগ্রেস ও বিজেপির মর্জির ওপর।
মহারাষ্ট্র নির্বাচনে মুখ থুবড়ে পড়েছিল কংগ্রেস। তারপর থেকেই কংগ্রেসের সঙ্গ দূরত্ব রাখছিল তৃণমূল কংগ্রেস। সম্প্রতী সংসদে শীতকালীন অধিবেশে তা আরও প্রকট হয়েছে। যদিও রাজ্যসভার চেয়ারম্যান পদ থেকে জগদীপ ধনখড়কে সরিয়ে দেওয়ার জন্য তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে একমত হয়েছিল কংগ্রেস ও তৃণমূল। কিন্তু তারমাত্র এক দিন পরেই সম্পূর্ণ ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে সংসদ অস্থির করার জন্য সরকার পক্ষ বিজেপি ও প্রধান বিরোধি দল কংগ্রেসকে নিশানা করল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। তৃণমূলের সাফ কথা, কংগ্রেস আর বিজেপিও সংসদের অধিবেশ অস্থির করছে।
তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সংসদে সুস্ঠু অধিবেশন চলবে কিনা তা ঠিক হচ্ছে কংগ্রেস ও বিজেপির মর্জির ওপর। তারা চাইলে অধিবেশন চলছে। না চাইলে চলছে না। তারফলে অন্যান্য দলগুলি সংসদে নিজেদের কথা বলতে পারছে না। লোকসভায় তৃণমূলের মুখ্যসচেতক কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'অধিবেশন তলবে কি চলবে না, তা ঠিক হচ্ছে কংগ্রেস আর বিজেপির ইচ্ছের ওপর। কংগ্রেসের অধিবেশন চাইলে বিজেপি হট্টোগেল করছে। আবার বিজেপি চাইলে কংগ্রেস হট্টোগোল করছে। এটা ঠিক হচ্ছে না।' অন্যদিকে লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী বলেছেন, তাঁরা চান অধিবেশন চলুক। কিন্তু বিজেপি ও কেন্দ্রীয় সরকার চুপ করাতে চায় বিরোধীদের। তাই শাসকদলই অস্থিরতা তৈরি করছে।
শীতকালীন অধিবেশনের শুরু থেকেই আদানি ইস্যুতে উত্তাল সংসদ। কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছে । বারবার মুলতবি হচ্ছে লোকসভা ও রাজ্যসভা। তবে আদানি ইস্যুতে তৃণমূল প্রথম থেকেই কংগ্রেসের সঙ্গে থাকেনি। এখনও নেই। তৃণূলের বক্তব্য ছিল আদানি ইস্যুর থেকেও গুরুত্বপূর্ণ ১০০ দিনের কাজ, আবস যোজনার মত জনকল্যাণমূলক বিষয়গুলি। তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রের খবর, শাসক দল বিজেপি আর বিরোধী দল কংগ্রেস। শাসক বিরোধীর মধ্যে পড়ে ভুগতে হচ্ছে তৃণমূলের মত দলগুলিকে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
