সংক্ষিপ্ত

প্রেমিকাকে খুন করে আত্মহত্যার চেষ্টা প্রেমিকের। কিন্তু ফেসবুক পোস্টের সূত্র ধরেই রক্তাক্ত অবস্থায় অভিযুক্তকে উদ্ধার করল পুলিশ।

 

ডাক্তার প্রেমিকাকে খুন করে আত্মহত্যার চেষ্টা করল প্রেমিক। মর্মান্তিক এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে জম্মুতে। গুরুতর জখম অবস্থায় প্রেমিককে উদ্ধার করেছে পুলিশ। বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন জম্মুর সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। পুলিশ জানিয়েছে, রান্নাঘরে থাকা ছুরি দিয়ে কুপিয়ে সে হত্যা করেছে তার প্রেমিকাকে। দুজনের মধ্যে একটি বিষয় নিয়ে সমস্যা হচ্ছিল। তা ঝগড়াঝাটির পর্যায়ে পৌঁছেছিল। সেই সময় প্রেমিক তার প্রেমিকাকে হত্যা করে।

নিহত চিকিৎসকের নাম সুমেধা শর্মা। জম্মুর তাল্লাব টিলোর বাসিন্দা। তাঁর প্রেমিক জোহর গনাই পাম্পেশ কলোনির বাসিন্দা। দুজনের দীর্ঘ দিনের সম্পর্ক। তবে ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে জোহরের ফেসবুক পোস্ট থেকে। কারণ আত্মহত্যার আগেই জোহর ফেসবুকে লেখেন, ব্যক্তিগত কারণে তিনি নিজের জীবন শেষ করতে চলেছেন। তারপরই তাঁর বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। কিন্তু দরদা ভিরত থেকে বন্ধ করা ছিল। দরজা ভেঙে বাড়ির ভিতরে ঢুকে পুলিশ রক্তাক্ত অবস্থায় জোহরকে উদ্ধার করে। দ্রুত ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। পুলিশ জানিয়েছে জোহরের পেটের ক্ষত গুরুতর। অন্যদিকে সুমেধাকেও হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিল পুলিশ। কিন্তু তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। পুলিশের অনুমান সুমেধার গলা কেটে খুন করে তারপর নিজে আত্মহত্যা করে জোহর।

পুলিশ জোহরের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারা ( খুন)র অধীনে একটি মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, দুজনের মধ্যে সম্পর্ক ছিল। তাঁরা জম্মুর একটি ডেন্টাল কলেজ থেকে ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারি নিয়ে পড়াশুনা করেছিলেন। কিন্তু পরে সুমেধা এই কলেজ ছেড়ে এমডিএস পড়ার জন্য অন্যত্র চলে গিয়েছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে হোলির ছুটিতে সুমেধা বাড়িতে গিয়েছিলেন। সেই সময়ই কয়েক দিন তিনি তাঁর প্রেমিকের বাড়িতে ছিলেন, যেখানে থাঁকে তহ্যা করা হয়েছে। তবে সুমেধা আর জোহরের মধ্যে কী নিয়ে আশান্তি হয়েছিল তা এখনও নিশ্চিতভাবে বলতে পারছে না পুলিশ। তবে অভিযুক্ত ও নিহতের পরিবার এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি। পুলিশ ময়না তদন্ত করে নিহতের দেব তার পরিবারের হাতে তুলে দিয়েছে। তবে তদন্ত চলছে।

পুলিশ সূত্রের খবর, অভিযুক্ত জোহরের অবস্থা সংকটজন। শারীরিক অবস্থার একটু উন্নতি হলেও তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। কিন্তু হাসপাতালে ভর্তি করার পর থেকে জ্ঞান থাকলেও সে কোনও মন্তব্য করেনি। তবে খুনের কথা স্বীকার করে নিয়েছে। খুনের কারণ সম্পর্কে কোনও কথাই বলতে সে রাজি নয় বলেও পুলিশ সূত্রের খবর।