সংক্ষিপ্ত

  • দেশ জুড়ে চলছে ২১ দিনের লকডাউন
  • তার মধ্যেই ঘটে গেল এক মর্মান্তিক ঘটনা
  • নিজের স্ত্রীর হাতে খুন হলেন স্বামী
  • প্রেমিকের সঙ্গে মিলে স্বামীকে পৃথিবী থেকে সরাল স্ত্রী

করোনাভাইরাস সংক্রমণ রুখতে গোটা দেশ জুড়ে ২১ দিনের লকডাউন ঘোষণা করেছে ভারত সরকার। তারপরেও  প্রতিদিনই নতুন করে আসছে আক্রান্ত হওয়ার খবর। পরিস্থিতি উদ্বেগজনক যোগী রাজ্য উত্তরপ্রদেশেরও। এখানে গত শুক্রবার নতুন করে সংক্রমণ ছড়িয়েছে ৫০ জনের শরীরে। ফলে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭৪। রাজ্যবাসী যাতে কোনও অবস্থাতেই বাড়ির বাইরে বার না হন তার জন্য নির্দেশিকা জারি করেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। আর এসবের মধ্যেই ঘটে গেল এক অঘটন। লকডাউনের মধ্যেই নিজের স্বামীকেই খুন করে বসলেন এক তরুণী গৃহবধূ।

আরও পড়ুন: লকডাউনের মধ্যেই কাশ্মীরে জঙ্গি হামলার ছক, পুলিশের গুলিতে নিকেশ ২

অভিযোগ স্বামীকে গলা টিপে খুন করেন ওই গৃহবধূ। ঘটনাস্থল উত্তর প্রদেশের আগ্রা জেলা। জানা যাচ্ছে, নিজের খুড়তুতো ভাইয়ের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল মহিলার। তার জেরেই প্রাণ খোয়াতে হল ২২ বছরের বিক্রম ঠাকুরকে।

আরও পড়ুন: বেলা বোস বাড়িতেই থেকো, সচেতনতা বাড়াতে এবার অঞ্জন দত্তের ভূমিকায় কলকাতা পুলিশ, ভাইরাল হল ভিডিও

বিক্রম নয়ডার এক বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতেন। আগ্রার বারহান পুলিশ স্টেশনের অন্তর্গত খান্ডারা গ্রামে রয়েছে  তাঁর পৈত্রিক বাড়ি। সেখানেই দেড় বছরের সন্তানকে নিয়ে থাকত স্ত্রী রবিনা। গত সপ্তাহেই স্ত্রী, পুত্রের সঙ্গে দেখা করতে বাড়ি ফিরেছিল বিক্রম। আর সেই সময়ই প্রেমিকের সঙ্গে মিলে স্বামীকে পৃথিবী থেরে সরিয়ে দেওয়ার ছক কষে রবিনা। প্রতিবেশী প্রতাপ যে কিনা রবিনার তুতো ভাই, তার  সঙ্গে জোট বেঁধে স্বামীকে খুন করে রবিনা।

আরও পড়ুন: নগ্ন হয়ে নার্সের কাছে দাবি করছেন বিড়ি, তবলিগ জামাতে অংশগ্রহণকারীর নিয়ে ফাঁপরে হাসপাতাল

বারহান থানার আধিকারিক মহেন্দ্র সিং জানিয়েছেন," রাত আড়াইটে নাগাদ রবিনা ও প্রতাপ মিলে বিক্রমকে খুন করে। ইতিমধ্যে অভিযুক্ত মহিলাকে গ্রেফতার করা হলেও পলাতক তার সঙ্গী প্রতাপ। ইতিমধ্যে ভারতীয় দণ্ডিবিধির ৩০২ ধারায় রবিনার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। যদিও এখনও খুনের অস্ত্র খুঁজে পাওয়া যায়নি। খুনের ঘটনায় অপর অভিযুক্ত গ্রেফতার হলেই মারণ অস্ত্রটিরও খোঁজ মিলবে বলে আশা করা যায়।"

গ্রামের একটি খালের মধ্যে থেকে উদ্ধার হয়েছিল বিক্রমের দেহ। তাঁর গলায় কাটা দাগ ছিল। প্রথমে তদন্তে নেমে পুলিশ রবিনার কল রেকর্ড চেক করে। তাতে দেখা যায় প্রতিবেশী প্রতাপের সঙ্গে প্রতিদিন দীর্ঘ সময় ধরে কথা হত ওই তরুণীর। এরপরেই ধীরে ধীরে পুরো সত্যিটা উঠে আসে পুলিশের সামনে। রবিনা গ্রেফতার হওয়ার পর বিক্রমের সন্তানের দায়িত্ব তাঁর মায়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

এর আগে গত জানুয়ারিতে ছত্তিশগড়ে এমন এক ঘটনাই ঘটেছিল। সেবার স্ত্রীর বিবাহ বহির্ভফূত সম্পর্ক জেনে ফেলায় স্বামীকে খুন করেছিল ২৯ বছরের এক তরুণী।