সংক্ষিপ্ত

দিতে হবে ৭ লক্ষ টাকা।

না হলেই ফাঁসানো হবে মিথ্যা ধর্ষণের মামলায়।

এমনভাবেই একের পর এক হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজারের কাছ থেকে তোলা আদায় করত।

শেষ পর্যন্ত কী হল তার পরিণতি?

 

মিথ্যা ধর্ষণের মামলা দায়ের করার হুমকি দিয়ে পুনের এক সংস্থার হিউম্যান রিসোর্স বা মানবসম্পদ ম্যানেজারের কাছ থেকে তোলা আদায়ের করতে চেয়েছিলেন এক মহিলা। এমন অভিযোগেই ওই মহিলা কর্মীকে গত শনিবার পুনে পুলিশের অপরাধদমন শাখা গ্রেফতার করেছে।

পুলিশ জানিয়েছে, ওই মহিলা এইচআর ম্যানেজারকে ৭ লক্ষ টাকার জন্য চাপ দিয়েছিলেন। না দিলে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা ধর্ষণের মামলা দায়ের করবেন বলে হুমকি দেন। সেই তোলারর প্রথম কিস্তি হিসাবে মহিলা ইতিমধ্যে ৪৫,০০০ টাকা হাতিয়ে নিয়েছিলেন। কিন্তু ওই এইচআর ম্যানেজার অভিযুক্তের দাবি অনুযায়ী সাড়ে ছয় লক্ষ টাকা না দেওয়ার পরই বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়।

ওই এইচআর ম্যানেজারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করতে নেমে পুনে পুলিশের তোলাবাজি বিরোধী সেল জানতে পারে ওই মহিলা ও তাঁর এক সঙ্গী দুজনে মিলে এই বিষয়ে রীতিমতো একটি কারবার ফেঁদে বসেথে। বিভিন্ন কোম্পানির এইচআর পেশাদারদের সঙ্গে ওই মহিলা যোগাযোগ করতেন। তাঁদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলতেন। তারপরই ধর্ষণের মামলা করার হুমকি দিয়ে ওই মহিলা ও তার সঙ্গী মোটা অর্থের দাবি ককরত।

বিষয়টি জানার পরই পুলিশ ওই মহিলাকে গ্রেফতারের জন্য ফাঁদ পাতে। গত শনিবার, ইন্সপেক্টর রাজেন্দ্র মহিলে এবং সাবইন্সপেক্টর নীলেশকুমার মহাদিক-এর নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল দুই অভিযুক্তকেই গ্রেফতার করে। ওই মহিলার সঙ্গে তার সঙ্গীর বিরুদ্ধেও তোলাবাজির অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। আদালত তদন্তের জন্য ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত ওই দুজনকে পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছে।