সংক্ষিপ্ত

কানাডা থেকে প্রেমিকাকে ডেকে এনে খুন করে দিল প্রেমিক। এক বছর আগের রহস্যের সমাধান করে মাথায় হাত পুলিশের।

 

কানাডা থেকে প্রেমিকের সঙ্গে দেখার করার জন্য দেশে ফেরাতেই বিপত্তি। চরম পরিণতি প্রেমিকার। এক বছর আগে নিখোঁজ হওয়া তরুণীর সন্ধানে নেমে হাড়হিম করা তথ্য উঠে এল পুলিশের জালে। নিখোঁজ রহস্যের সমাধান করতে গিয়ে পুলিশ জানল প্রেমিকের হাতে নির্মমভাবে খুন হয়েছে প্রেমিকা। আর বছর ধরে প্রেমিকার দেহ পোঁতা রয়েছে প্রেমিকের খামারবাড়িতে। এখানেই শেষ নয়, পুলিশ জানিয়েছে প্রেমিকাকে হত্যার পরেও নিজের দাম্পত্য জীবনে তাঁর আঁচ পর্যন্ত পড়তে দেয়নি প্রেমিক। নির্মম এই হত্যাকাণ্ডের সাক্ষী হরিয়ানা।

রোহতকের তরুণী, উচ্চ শিক্ষার জন্য গিয়েছিলেন কানাডা। স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে তিনি গিয়েছিলেন। কিন্তু গত বছর অর্থাৎ জুন মাসে দেশে ফেরের শুধুমাত্র প্রেমিকের ডাকে সাড়া দিয়ে। পুলিশ সূত্রের খবর প্রেমিক তাঁর প্রেমিকাকে ডেকে পাঠিয়েছিল শুধুমাত্র দেখা করার জন্য। তাই কানাডা থেকে পরিবারকে না জানিয়েই প্রেমিকা তাঁর প্রেমিকার কাছে এসেছিল জুন মাসে। পুলিশ জানিয়েছে সেই সময়ই তরুণীকে হত্যা করে সোনিপাতের একটি মাঠে পুঁতে দিয়েছিল প্রেমিক। মামলার তদন্তকারী ভিওয়ানির ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি গনৌরের কাথে ঝাঁঝরার রাস্তার পাশে একটি মাঠ থেকে তরুনীর কঙ্কাল উদ্ধার করে।

পুলিশ জানিয়েছে তরুণীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। ২ এপ্রিল খুনের অভিযোগে প্রেমিককে উত্তর প্রদেশ থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তরুণীর পরিবার তাঁর সঙ্গে দীর্ঘ দিন ধরে যোগাযোগ করতে না পেরে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিল। তারপরই নিখোঁজ ডায়েরি করেছিল। পুলিশ তরুণীর মোবাইল ফোনের লোকেশন দেখে জানতে পারে গত বছর তরুণী এই দেশে এসেছিল। বেশ কয়েকটি এলাকায় তরুণী গিয়েছিল।

যাইহোক তদন্তকারীরা জানিয়েছেন তরুণীর নাম মনিকা। আর তার প্রেমিকের নাম সুনীল। ২৩ বছরের মনিকা ২০২২ সালের জানুয়ারিতে স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে কানাডি গিয়েছিল। কিন্তু তারই মধ্যে তার প্রেমিক সুনীল এক মহিলাকে মন্দিরে বিয়ে করে। রীতিমত দাম্পত্য জীবনে প্রবেশ করেছিল। কারণ সুনীল দুই বাচ্চার বাবাও। তবে মনিকা যখন কানাডা থেকে দেশে ফিরেছিল সব তথ্য লুকিয়ে সুনীল আবার মনিকাকেও একটি মন্দিরে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করেছিল। পুলিশ জানিয়েছে, জানুয়া থেকে মে মাসের মধ্যে মনিকা কয়েকবার বারতে এসেছিল। কিন্তু জুন মাস থেকে তার কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি।

পুলিশ জানিয়েছে, ২৯ জুন মনিকাকে খুন করা হয়েছিল। তারপর সুনীল নিজের খামারবাড়ির মাঠে ১০ ফুট গভীর গর্ত করে সেখানেই পুঁতে দিয়েছিল। কিন্তু জুন মাস থেকেই মনিকার খোঁজ না পেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়ে নিখোঁজ ডায়েরি করে। তাতেই মনিকা খুনের তথ্য সামনে আসে।

খুনের কারণ হিসেবে পুলিশের অনুমান, সুনীল মনিকার সঙ্গে প্রেম করলেও বিয়ে করেছিল অন্য মহিলাকে। তাদের দুটি সন্তান থাকলেও দাম্পত্য সুখ ছিল না। সুনীল চেয়েছিল মনিকার সঙ্গে বিদেশে স্থায়ীভাবে থাকতে। কিন্তু মনিকার সঙ্গে কথা বলে সে জানতে পারে মনিকার বিদেশে থাকার পরিকল্পনা নেই। সে দেশে ফিরেই থিতু হতে চায়। তখনই মেজাজ হারিয়ে প্রেমিকাকে হত্যা করে পুঁতে দিয়েছিল খামারবাড়িতে।

পুলিশ জানিয়েছে, সুনীলের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে। পাশাপাশি তথ্য গোপন করে বিয়ে করার অভিযোগে প্রতারণার অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে। অন্যদিকে প্রমিকা মনিকার দেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। ডিএনএ পরীক্ষার সমস্ত প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।