সংক্ষিপ্ত
- কারওয়া চৌথ করেন না উত্তর প্রদেশের বিজায়ু গ্রামের বাসিন্দারা
- গ্রামের মহিলারা কারওয়া চৌথের উপোস পর্যন্ত করেন না
- মনে করেন, কারওয়া চৌথে উপোসে স্বামীর অকাল মৃত্যু হবে
- ২০০ বছর আগের ঘটনার কারণেই মহিলাদের এই সিদ্ধান্ত
স্বামীর মঙ্গল কামনায় কারওয়া চৌথ করেন বিবাহিত মহিলারা। সারাদিন নির্জলা উপোস করার পর, সন্ধের দিকে বিবাহিত মহিলা পুজো করেন। তারপর চাঁদ ওঠার পর স্বামীর হাত থেকে প্রসাদ ও জল খেয়ে উপোস ভাঙেন বিবাহিত মহিলারা। বছর বছর ধরে স্বামীর মঙ্গল কামনায় এই পুজো করে আসছেন মহিলারা। কিন্তু উত্তর প্রদেশের বিজায়ু গ্রামের মহিলারা কারওয়া চৌথ করেন না। জানেন কেন?
উত্তর প্রদেশের বিজায়ু গ্রামের বাসিন্দারা মনে করেন, কারওয়া চৌথ করলে তাঁদের স্বামীর তো মঙ্গল হবেই না। বরং , অকালে মৃত্যু হবে তাঁদের স্বামীর। বিজায়ু গ্রামের বাসিন্দাদের মনে এই ভয় এসেছে লোকমুখে শোনা এক ঘটনা থেকে। স্থানীয় বাসিন্দা কিশোরী লাল চতুর্বেদি জানিয়েছেন, '২০০ বছর আগের এক ঘটনা আমাদের গ্রামে প্রচলিত রয়েছে। প্রায় ২০০ বছর আগে আমাদের গ্রামের ব্রাহ্মণ পরিবারের এক নববধূ কারওয়া চৌথ করেছিলেন। সেদিন রাতে নববধূ তাঁর স্বামীর সঙ্গে কোথাও গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরার সময় একদল গ্রামবাসী তাঁদের আটক করে। গরু চুরির অভিযোগে ওই গ্রামবাসীরা ব্রাহ্মন ব্যক্তিটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলে।'
কিশোরী লাল চতুর্বেদী জানান, 'ওই ব্যক্তিকে দাহ করার সময় সেই আগুনে পুড়ে নববধূ মৃত্যু বরণ করে। তিনি জানিয়েছেন, এর পর থেকে গ্রামের কোনও মহিলা কারওয়া চৌথের দিন উপোস করেন না। তাঁরা শুধু সতী মন্দিরে গিয়ে পুজো দিয়ে আসেন। ২০০ বছর আগের ঘটনা বিজায়ু গ্রামের বাসিন্দারা এতটা ভয় পান যে, তাঁরা গ্রামের কোনও দোকান থেকে সিঁদুর পর্যন্ত কেনন না। বাইরের গ্রাম থেকে সিঁদুর কেনেন। শুধু তাই নয়, বিয়ের আগে গ্রামের পুরুষরা সতী মন্দিরে গিয়ে পুজো দিয়ে আসেন।