সংক্ষিপ্ত

টানা ৭ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা বিতর্কের পর বুধবার লোকসভায় পাশ হল মহিলা সংরক্ষণ বিল।

ইতিহাস তৈরি করল নতুন সংসদ ভবন। প্রথম অধিবশেনেই লোকসভায় পাশ হয়ে গেল মহিলা সংরক্ষণ বিল। টানা ৭ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা বিতর্কের পর বুধবার লোকসভায় পাশ হল মহিলা সংরক্ষণ বিল। প্রায় তিন দশক ধরে অমীমাংসিত বিলটি মঙ্গলবার পেশ করেছিল কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। বিলটিতে মহিলাদের জন্য ৩৩ শতাংশ সংরক্ষণের কথা বলা হয়েছিল। বিলে প্রস্তাব করা হয়েছে পরবর্তী আদমশুমারি ও সীমাবদ্ধতা অনুশীলন পরিচালিত হওয়ার পরে সংরক্ষণ কার্যকর হবে। আগামী ১৫ বছরের জন্য তা কার্যকর থাকবে।

মহিলা সংরক্ষণ বিলের পক্ষে ভোট পড়েছে ৪৫৪টি। বিপক্ষে ভোট পড়েছে মাত্র ২টি। নারী শক্তি বন্দন অধিনিয়াম নামের বিলটি লোকসভায় পেশ করেছিলেন আইনমন্ত্রী অর্জুনরাম মেঘওয়াল। তিনি সেই সময়ই বলেছিলেন সীমাবদ্ধ অনুশীলন সম্পন্ন হওয়ার পরেই এটি কার্যকর হবে। ২০২৪ সালের পরবর্তী লোকসভায় নির্বাচনের সময় এটি কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা কম।

 

কংগ্রেস পার্লামেন্টারি পার্টির চেয়ারপার্সেন সনিয়া গান্ধী বিল নিয়ে বিতর্কের সময় নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তিমি বলেন, কংগ্রেস পার্টি বিলটি সমর্থন করেছে। তবে বিল নিয়ে তিনি উদ্বেগও প্রকাশ করেছেন। বলেছেন ভারতের মহিলারা গত ১৩ বছর ধরে তাদের রাজনৈতিক দায়িত্ব গ্রহণের জন্য অপেক্ষা রয়েছে। তাই বিলটি যাতে অবিলম্বে কার্যকর করা যায় তার ওপরেও জোর দেন সনিয়া গান্ধী।

মঙ্গলবার বিল পেশ করার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন , দেশের সরকার উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় মহিলার অংশগ্রহণ আরও বাড়াতে চায়। তবে আইনটি বাস্তবায়নে আরও কিছু সময় লাগবে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। তবে তিনি গতকালই জানিয়ে দিয়েছিলেন বিলটি ২০২৪ সালের লোকসফভা নির্বাচনে কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।

তৃণমূল কংগ্রেস, আম আদমি পার্টি সহ একাধিক বিরোধী রাজনৈতিক দল মহিলা সংরক্ষণ বিলকে সমর্থন করেলও কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছে। বিরোধীদের দাবি এই বিল দেখিয়ে লোকসভা ভোটে মহিলাদের ভোট টানার চেষ্টা করছে বিজেপি। মহিলাদের বোকা বানাতেই লোকসভা ভোটের আগে এই বিল পেশ করা হয়েছে।..