গত নভেম্বরে উদ্বোধন হয়েছে দীর্ঘতম সূড়ঙ্গ অটল টালেনেরআরও এক সাফল্যের সামনে দাঁড়িয়ে বিআরওশুরু হল বিশ্বের সর্বোচ্চ সুড়ঙ্গ নির্মাণের কাজঅরুণাচলের তাওয়াং প্রদেশের এই সূড়ঙ্গ কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ
আরও এক যুগান্তকারী সাফল্যের সামনে দাঁড়িয়ে বর্ডার রোড অগ্রানাইজেশন বা বিআরও। শুক্রবার থেকে শুরু হল অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং জেলার সেলা পাসের নিকটে সুড়ঙ্গ তৈরির কাজ। নির্মাণকাজ শেষ হলে ১৩২০ ফুট উচ্চতায় নির্মিত এই সুড়ঙ্গই হবে বিশ্বের সর্বোচ্চ সুড়ঙ্গ। বিষয়টির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত বিআরও-র এক আধিকারিক এশিয়ানেট নিউজ-কে জানিয়েছেন, এই সুড়ঙ্গটির নির্মাণকাজ ২০২২ সালের জুন মাসের মধ্যেই শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এই সুড়ঙ্গ কৌশলগত ভাবে দারুণ গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। দুর্গম সেলা পাস অতিক্রম করে যাতায়াত এতদিন খুবই সমস্যার ছিল। সুড়ঙ্গটির নির্মাণ শেষ হলে সেই সমস্যার সমাধান হবে। সহজেই টপকে যাওয়া যাবে এতদিনের এই দুর্গম পথ। ফলে তেজপুরের ঘাঁটি থেকে ভারতীয় সেনার গজরাজ কর্পস-এর প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা অঞ্চলে পৌঁছতে এক ঘন্টা মতো সময় কম লাগবে। চিনের আগ্রাসনের প্রেক্ষিতে দেশের অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে।

এদিন দেশের অখণ্ডতা নিশ্চিত করতে যেসব বীর সেনা ওই অঞ্চলে প্রাণ দিয়েছেন তাঁদের স্মরণে বিআরও-র ডিরেক্টর লেফট্যানেন্ট জেনারেল রাজীব চৌধুরী প্রায় ৫০০ কিলোমিটার পথ গাড়ি চালিয়ে যান। টানেলের দক্ষিণ মুখে খনন শুরুর জন্য তিনিই পাহাড়ের গায়ে প্রথম বিস্ফোরণটি ঘটান।

২০২০ সালের অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী হিমাচলপ্রদেশে 'অটল টানেল'এর উদ্বোধন করেছিলেন। এই সুড়ঙ্গটি ১০ হাজার ফুট উচ্চতায় অবস্থিত এবং বিশ্বের দীর্ঘতম টানেল। শুধু এই বিস্ময়কর সুড়ঙ্গটিই নয়, গত ছয় দশকেরও বেশি সময় ধরে, নিরাপত্তা বাহিনীর প্রয়োজন মতো রাস্তা, সেতু, এয়ারফিল্ড এবং সূড়ঙ্গ নির্মাণের কাজ করে চলেছে বিআরও। আর এইসব নির্মাণই হয় প্রতিকূল আবহাওয়ায়, প্রতিকূল ভৌগলিক এলাকায়। আর এর ফলে যে শুধু নিরাপত্তা বাহিনীর সুবিধা হয়, তা নয়। সেইসমস্ত প্রতিকূল জায়গায় বাসিন্দারাও বিআরও-র এই নির্মাণকাজে দারুণভাবে উপকৃত হন।
