সংক্ষিপ্ত

কৃষক সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে আন্দোলন স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ১৫ই জানুয়ারী একটি পর্যালোচনা সভা করা হবে। 

এক বছরেরও বেশি সময় ধরে বিক্ষোভ (Year long farmers protest) করার পর, সরকার তাদের সব দাবি মেনে নেওয়ায় কৃষকরা বিক্ষোভ শেষ করার সিদ্ধান্ত নিলেন (Farmers Protest Ends)। কৃষক সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে আন্দোলন স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ১৫ই জানুয়ারী একটি পর্যালোচনা সভা (review meeting) করা হবে। যদি সরকার তার প্রতিশ্রুতি পূরণ না করে, তাহলে ফের আন্দোলন শুরু করতে পারেন তাঁরা বলে হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার দিল্লিতে সম্মিলিত কিষাণ মোর্চার বৈঠকের পরে কৃষক নেতা গুরনাম সিং চারুনি এমনই তথ্য দেন সাংবাদিকদের।

ভারত সরকার প্রতিবাদী কৃষকদের একটি আনুষ্ঠানিক চিঠি পাঠিয়েছে, যেখানে MSP-এর উপর একটি কমিটি গঠন করা এবং অবিলম্বে তাদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। এর আগে, এমএসপি (MSP) ও কৃষকদের অন্যান্য দাবি (other demands) নিয়ে আলোচনায় সম্মত হয় কেন্দ্র। এই আলোচনা করার জন্য পাঁচ কৃষক নেতার (5 farmer leaders) নামের তালিকা চেয়ে পাঠায় নরেন্দ্র মোদী সরকার। কৃষি আইনের বিরুদ্ধে সরব হওয়া নেতাদের MSP এবং অন্যান্য দাবি নিয়ে আলোচনা করার জন্য একটি কমিটি গঠনের প্রস্তাব রাখে নরেন্দ্র মোদী সরকার। 

উল্লেখ্য কৃষকদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে ১১ ডিসেম্বর শনিবার তাঁরা তাঁদের বিক্ষোভ শেষ করবেন এবং বাড়ির পথ ধরবেন। কৃষক ইউনিয়নগুলি আজ বিকাল সাড়ে পাঁচটায় একটি ফতেহ আরদাস (বিজয় প্রার্থনা) এবং ১১ ডিসেম্বর সকাল নটায় দিল্লির সীমান্তে সিংগু এবং টিকরি বিক্ষোভের জায়গায় একটি ফতেহ মার্চ (বিজয় মিছিল) পরিকল্পনা করেছে। 

উল্লেখ্য, কেন্দ্রের সঙ্গে এমএসপি ও অন্যান্য দাবি দাওয়া নিয়ে আলোচনা না হলে বিক্ষোভ থেকে পিছু হঠবে না কৃষকরা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন কৃষক নেতা রাকেশ টিকাইত। টিকাইত বলেছিলেন যে কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল, ২০২১ হল সেই সমস্ত ৭৫০জন কৃষকদের প্রতি শ্রদ্ধা, যারা আন্দোলনের সময় প্রাণ হারিয়েছিলেন। টিকাইত গত নভেম্বর মাস থেকে দিল্লির গাজিপুর সীমান্তে বিক্ষোভের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি বলেন যে সরকার যদি চায় দেশে কোনও বিক্ষোভ না হোক তবে এমএসপি এবং অন্যান্য সমস্যাগুলির সমাধান করে দিক। তবেই ঘরে ফিরবেন কৃষকরা। 

রাকেশ টিকাইত আরও জানিয়ে ছিলেন, সরকার ফের আলোচনায় বসুক। কৃষক নেতাদের ডাকা হোক সেই আলোচনায়। এমএসপি বা সরকারি নূন্যতম সহায়ক মূল্য নিয়ে আলোচনা চলুক। সেই সমস্যার অবিলম্বে সমাধান করা হোক।