সংক্ষিপ্ত

ফের আলোচনায় লিপুলেখ

এর আগে উত্তরপ্রদেশেরে এই জায়গায় নিজেদের বলে দাবি করেছিল নেপাল

এবার অবশ্য চাপ বাড়ছে চিনের দিক থেকে

এই এলাকায় তিন দেশেরই সীমান্ত মিলেছে

 

ভারত ও চিনের মধ্যে চলমান সীমান্ত বিরোধের মধ্যে, ফের আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এল লিপুলেখ। তবে এবার আর এই জায়গার দখল নিয়ে ভারতের সঙ্গে বিরোধে জড়ায়নি নেপাল, বরং লাদাখের পর এবার এই অঞ্চলে সেনা মোতায়েন করছে চিন।

লাদাখে থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়ার দাবি করছে বেজিং। তবে প্যাংগং লেকের কিছু অংশ নিয়ে এখনও সহমতে আসতে পারেনি ভারতের সঙ্গে। এরমধ্যেই আরও এক কৌশলগত স্থান লিপুলেখে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর, এখন অন্তত ১০০০ জন চিনা পিএলএ সদস্যকে মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

লিপুলেখ খুবই স্পর্শকাতর একটি জায়গা। এইস্থানে ভারত, নেপাল এবং চিন - তিনদেশের সীমান্তই এসে মিলেছে। লিপুলেখের ভারতীয় পাশেই ভারত মানস সরোয়ার যাত্রা সহজ করার জন্য একটি ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ রাস্তা তৈরি করেছে। এর বিরোধিতা করেছিল নেপাল। এর পরে নেপাল তার নতুন রাজনৈতিক মানচিত্র প্রকাশ করেছে। এই মানচিত্রে লিপুলেখ-কে কাঠমাণ্ডু তাদের দেশের অংশ হিসাবে দেখিয়েছে। এই নিয়ে সাম্প্রতিক দিনগুলিতে ভারত এবং নেপালের দীর্ঘদিনের সুসম্পর্কে কালো ছায়া পড়েছে।

এরই মধ্যে এমন এক কৌশলগত এলাকায় চিনের গোটা একটি ব্যাটালিয়ন বা ১০০০ সৈন্য মোতায়েন করার পিছনে গভীর উদ্দেশ্য রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। পূর্ব লাদাখে পিছু হঠলেও উত্তরপ্রদেশের এই জায়গায় চিন নতুন করে ঝামেলা পাকাতে চাইছে বলে মনে করা হচ্ছে। উল্লেখ্য চিনের প্রভাবেই ভারতের সঙ্গে নেপালি প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি বিরোধের রাস্তায় যাচ্ছেন বলে মনে করা হয়।

তবে ভারত-ও চুপ করে বসে নেই। চিনের পক্ষ থেকে পূর্ব লাদাখে আচমকা অনুপ্রবেশের পর চিন সীমান্তের প্রতিটি জায়গায় সেনা উপস্তিতি বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি নেপালের সীমান্তেও বেড়েছে সেনা মোতায়েন। তাই এই মুহূর্তে লিপুলেখে ভারতের অন্তত এক হাজার সেনা রয়েছে।