সংক্ষিপ্ত

  • ভক্তশুন্য অবস্থায় স্নানযাত্রা
  • পুরী জুড়ে ১৪৪ ধারা
  • রথযাত্রাতেও থাকবে না ভক্তের ঢল 
  • কড়া নিরাপত্তায় ঢেকে ফেলা হয়েছে ওড়িশা

করোনার কোপে এবার স্নানযাত্রাও। একের পর এক পার্বণে কোপ। এদিন সকাল থেকেই পুরীর চেনা ছবিটা চোখে ধরা পড়ল না। ভক্তের ভিড় নেই এবার, ভক্তশূন্য করেই চলছে স্নানযাত্রার পূন্যস্নান। লাইভে গোটা দেশ জুড়ে দেখা যাচ্ছে এই স্নান। এদিন রীতি মেনেই মন্দিরের পুরোহিতেরা এই স্নানের ব্যবস্থা করে। আগামী ১২ জুলাই রথযাত্রা। বৃহস্পতিবার স্নানের পরই ১৫ দিন বিশ্রামে থাকবেন জগন্নাথদেব। তবে রথের দিনও রথের দরি টানবেন সেই পুজারিরাও। তারজন্য থাকতে হবে করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট। 

আরও পড়ুন- ডেল্টা-ডেল্টা প্লাস কোভিডের বিরুদ্ধে হাইব্রিড টিকা, 'সুপার ভ্যাকসিন'-এর খোঁজ দিলেন বিজ্ঞানীরা 

আরও পড়ুন- আজ থেকে খুলে গেল দক্ষিণেশ্বরের ভবতারিণী মায়ের মন্দির, পুজোতে ফুল-সিঁদুর নিষিদ্ধ

কোনও রকমের অপৃতিকর ঘচটা এড়াতে বা ভিড় এড়াতে জারি করা হয়েছে  ১৪৪ ধারা। বুধবার অর্থাৎ ২৩ জুন রাত ১০টা থেকে শুরু হয়েছে এই ১৪৪ ধারা। তা চলবে ২৫ জুলাই দুপুর ২ টো পর্যন্ত। সর্বত্র কড়া নজর রেখে চলেছে পুলিশ। নিয়ম মেনে এবার হাজির হননি রাজাও। মন্দিরের মূল পুরোহিতেরাই নিয়ম মেনে স্নানযাত্রার রীতি পালন করছেন। বিপুল পরিমানে পুলিশবাহিনি মোতায়ন করা হয়েছে। নিরাপত্তার দিকেও রয়েছে নজর। 

তবে পর্যটনে ব্যপক ক্ষতি। প্রতিবছরই এই দুই মাস ধরে পুরীতে উপচে পড়ে ভিড়। মানুষের স্রোত চোখ পড়ে খবরের শিরোনামে। কিন্তু এবার খাঁখা করছে দেবভুমি। সমুদ্র সৈকতে ১৪৪ ধারার জেরে ফাঁকা, জনশুন্য়। এবারও ভক্তছাড়াই ঘুরবে রথের চাকা। ওড়িশা সরকার থেকে গোটাশহরের ওপর নজর দেওয়া হয়েছে। সাধারণ মানুষের চলাফেরার ওপর রয়েছে নিষেধাজ্ঞা।