সংক্ষিপ্ত
- আততায়ী হামলা টেক্সাসে
- বন্দুকবাদের গুলিতে মৃত অন্তত ২০
- আহত বহু সাধারণ মানুষ
- ঘটনার নিন্দায় ডোনাল্ড ট্রাম্প
ফের বন্দুকবাজের হামলা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে।ভারতীয় সময়ে শনিবার রাতে টেক্সাসের এল পাসোয়ে ওয়ালমার্টের একটি শপিং মল আচমকাই ভরে ওঠে গোলাগুলির শব্দে। সাধারণ মানুষের ওপর নির্বিচারে গুলি চালিয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে অন্ত ২০ জনের।
মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ২৬ জন। পুলিশ সূত্রে দাবি করা হচ্ছে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এই হামলার নেপথ্যে থাকা এক সন্দেহভাজনকে এদিন গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আততায়ীর আনুমানিক বয়স ২১ বছরের কাছাকাছি। জানা গিয়েছে সন্দেহভাজন ওই আততায়ী একজন শেতাঙ্গ। পুলিশ সূত্রে খবর তার বাড়ি ডালাসের শহরতলি এলাকা অ্যালেন-এ।
সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাতকারে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, চারদিকে গুলির আওয়াজ ভেসে আসছিল। আচমকাই তিনি দেখেন যে, এক মহিলা মল থেকে বেরিয়ে গাড়ির দিকে যাওয়ার পথে আচমকাই মাটিতে লুটিয়ে পড়লেন। তিনি আরও জানান, আততায়ীয়ের হাতে ছিল একটি কালো রঙের রাইফেল। মলে থাকা সাধারণ মানুষকে লক্ষ্য করে সে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে যাচ্ছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একাধির ভিডিও ফুটেজে উঠে এসেছে ঘটনাস্থলের একাধিক ছবি, যেখানে দেখা যাচ্ছে মাটিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে একাধিক মৃতদেহ।
টেক্সাসের গভর্নর গ্রেগ অ্যাবট একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, ২০জন নিরপরাধ মানুষ এই হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন, নিহতের পরিবারের উদ্দেশে সমবেদনাও জানিয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত ঘটনাটি যেখানে ঘটেছে সেটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকো সীমান্তে সেখানকার অধিকাংশ মানুষই হিস্পানিক। জানা গিয়েছে মৃতদের মধ্যে তিনজন মেক্সিকোর বাসিন্দা, আহতদের মধ্যে অনেকেই মেক্সিকোর মানুষ বলেও খবর। এই ঘটনার জেরে বিভিন্ন মহল একে 'হেট ক্রাইম' বলেও মনে করছেন।
মর্মান্তিক এই ঘটনার কথা টুইট করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, টেক্সাসের এল পাসোর ঘটনা কেবল দুর্ভাগ্যজনকই নয়, কাপুরুষোচিতও বটে। এই ঘটনায় তিনি দেশের সব মানুষের পাশে রয়েছেন বলেও জানান তিনি। নিরপরাধ মানুষদের নির্বিচারে হত্যাকরার কোনও কারণ থাকতে পারে না।