খাইবার পাখতুনখোয়ার হিন্দু মন্দিরে ভাঙচুর করে লাগানো হয়েছিল আগুনএই নিয়ে তীব্র ক্ষুব্ধ পাক হিন্দুরাএখনও পর্যন্ত ওই ঘটনায় ৩১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছেমন্দির পুনর্নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছে সরকার 

বছরের শেষে পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের একটি হিন্দু মন্দিরে হামলা চালিয়েছিল ও অগ্নিসংযোগ করেছিল। নতুন বছরের প্রথম দিন পাক কর্তৃপক্ষ জানালো ওই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৩১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সেইসঙ্গে প্রাদেশিক খান সরকার ওই মন্দির পুনর্নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছে।

গত বুধবার (৩০ ডিসেম্বর, ২০২০) খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের করাক জেলার তেরি গ্রামের এক হিন্দু মন্দিরে মন্দিরে হামলা চালিয়েছিল কয়েকশ মানুষ। এই হামলার নেতৃত্ব দিয়েছিল স্থানীয় এক আলেম এবং ফজলুর রহমান-এর জমিয়তে উলাম-এ-ইসলাম গোষ্ঠীর একদল সমর্থক। জানা গিয়েছে অতি সম্প্রতি হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যরা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে প্রাচীন মন্দিরটি সংস্কারের অনুমতি পেয়েছিল। তারপরই এই হামলা চালানো হয়।

Scroll to load tweet…

স্থানীয় পুলিশ এদিন জানিয়েছে, বৃহস্পতিবারই এই বিষয়ে অভিযান চালিয়ে মন্দির ভাঙায় অংশ নেওয়ায় জড়িত থাকার সন্দেহে ৩১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে জনতা উস্কে দিয়েছিল যে চরমপন্থী আলেম মৌলানা শরিফ এবং জমিয়তে উলাম-এ-ইসলাম'এর নেতারা, এখনও পলাতক। প্রাদেশিক পুলিশ বলেছে, ৩৫০ জনেরও বেশি লোকের নামে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে যে যে ধারায় মামলা করা হয়েছে তার মধ্যে সন্ত্রাসবাদ সম্পর্কিত আইনের ধারাও রয়েছে।

Scroll to load tweet…

এই হামলায় হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্য়ে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়। বৃহস্পদতিবারই করাচিতে প্রায় ১০০ জন হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ প্রতিবাদ সমাবেশ করেন। সেই সমাবেশে অংশ নিয়েছিলেন পাক হিন্দু সাংসদ রমেশ কুমার-ও। এর ফলে তীব্র চাপে পড়ে খাইবার পাখতুনখোয়া-র প্রাদেশিক সরকার। তড়িঘড়ি তারা দোষীদের উপযুক্ত সাজা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পাশাপাশি ভাঙচুর ও আগুনে ক্ষতিগ্রস্থ হিন্দু মন্দিরটি পুনর্গঠনের জন্য কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে।