সংক্ষিপ্ত

  • অবাক করা ঘটনা ঘটেছে জার্মানির এক শহরে
  • একটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার ৫টি শিশু দেহ
  • সন্দেহ করা হচ্ছে মা নিজেই এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত
  • পরে ওই মহিলা নিজে ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দেন

সন্তানকে সব বিপদ থেকে আগলে রাখেন মা। সে মানুষের সন্তান হোক বা পশু-পাখি। প্রকৃতিতে মায়ের স্নেহের থেকে খাঁটি আর কিছু হতে পারে না। কিন্তু জার্মানির এক ঘটনা সকলকে অবাক করে দিয়েছে। দেশটির পশ্চিম প্রান্তের শহর সলিনজেনের একটি অ্যাপার্টমেন্ট থেকে পাঁচটি শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, সন্দেহ করা হচ্ছে শিশুদের মা তাদের হত্যা করেছেন।

আরও পড়ুন: মাদক মামলায় এবার নাম জড়ালো আরও এক সুন্দরীর, বাড়ি তল্লাশির পর আটক করা হল কন্নড় অভিনেত্রীকে

সলিনজেন শহরের বিশাল আবাসিক এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে পাঁচজন শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রেই জানা গিয়েছে, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার বিকেলে রাইন-ওয়েস্টফালিয়া রাজ্যের সলিনজেন  শহরের হ্যাসেলডেল এলাকা থেকে পুলিশের কাছে জরুরি সহায়তা চেয়ে ফোন করা হয়। পুলিশ ওই আবাসনে গিয়ে পাঁচটি শিশুর দেহ উদ্ধার করে। ওই শিশুদের বয়স ছিল এক থেকে আট বছরের মধ্যে। তাদের মধ্যে তিনজন মেয়ে এবং দুজন ছেলে। তবে ১১ বছর বয়সী একটি ছেলেকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।

 

 

পুলিশ জানিয়েছে, সন্দেহ করা হচ্ছে শিশুদের মা নিজেই তাদের হত্যা করেছে। পরে ২৭ বছরের ওই মহিলা ডাসেলডর্ফ এলাকার কাছে একটি রেলস্টেশনে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। জার্মান পুলিশের মুখপাত্র স্টিফেন উয়েন্ড বলেন, ওই শিশুদের মাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়েছিলেন তিনি। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। পুলিশ এই ব্যাপারে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। মা সুস্থ হলে ওই নারীর সঙ্গে কথা বললে বিষয়টি সঠিকভাবে জানা যাবে বলে মনে করছেন পুলিশের কর্মকর্তারা। জানা গিয়েছে আরও এক শিশুকে নিয়ে ওই মহিলা ট্রেনের নিচে ঝাঁপিয়ে পড়েন। ওই শিশুটিকেও গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

আরও পড়ুন: ''কিল নরেন্দ্র মোদী'', এনআইএ-র হাতে আসা গোপন ই-মেলে ফাঁস প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার ছক

 এদিকে ইতিমধ্যে সলিনজেন শহরের বিশাল আবাসনের ওই ফ্ল্যাটটিতে সবার প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সলিনজেনের মেয়র ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান। বিষয়টি তাঁরও বোধগম্য হয়নি বলে প্রতিক্রিয়া দেন মেয়র। স্থানীয় এক পুলিশ কর্তা বলেন, আমরা এই হত্যাকাণ্ডের উদ্দেশ্য সম্পর্কে এখনই কিছু বলতে পারছি না। সুস্থ হলে  ওই মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এদিকে সেখানকার বাসিন্দারা ওই বিল্ডিংটির সামনে মোমবাতি ও ফুল দিয়ে মৃত শিশুদের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করেছে।