সংক্ষিপ্ত

প্লেট, চশমা, কার্পেট সবকিছু বিক্রি করছে আফগানরা। আর্থিক সংকট তীব্র গোটা আফগানিস্তান জুড়ে। এখনও দেশ ছেড়ে পালাতে মরিয়া সাধারণ মানুষ। 

তালিবানরা আফগানিস্তান দখলের পর সেদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ক্রমশই শোচনীয় হয়ে যাচ্ছে। চরম অর্থনৈতিক সংকট দেখা দিয়েছে গোটা দেশজুড়ে। এই অবস্থায় দরিদ্র আফগানদের পেট চালানোই দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর সেই কারণে খাবারের জোগাড় করতে বাড়ির সবকিছু বিক্রি করতে তারা প্রস্তুত। কাবুলের একাধিক বাজারে আফগানরা নিজেরাই বাড়ির আসবাবপত্র, রান্নার বানসপত্রের পরসা সাজিয়ে বসেছে। আফগানিস্থানের একাধিক বাজারে কেনাকাটা শিকেয় উঠেছে। এই অবস্থায় সধারণ নাগরিকরা বাড়ি থেকে বিক্রির জন্য নিয়ে এসেছে চশমা, প্লেট, রান্নার বাসনপত্র, ১৯৯০ সালের পুরনো টিভি সেট, সিঙ্গারের সেলাই মেশিন। সেকেন্ড হ্যান্ড সোফা সেট, বিছানা, কার্পেট। যদি বিক্রি করে দুপয়সা পাওয়া যায়, তবেই খাবার জুটবে। এমনটাই মনে করছেন তাঁরা। 

অগাস্ট মাসের মাধামাঝি তালিবানরা আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করে। তারপর থেকে চাকরি চলে গেছে বহু মানুষের । যাদের চাকরি রয়েছে তারাও নিময়িত বেলন পাচ্ছে না বলে অভিযোগ। কাবুল ব্যাঙ্কের কর্মীরাই অভিয়োগ করেছিল তারা প্রায় ৬ মাস নিয়মিত বেতন পায়নি বলে। অন্যদিকে আফগানিস্তানে অর্থভাণ্ডেরেও টাকা বাড়ন্ত। সেইকারণেই যাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে তারা প্রতি সপ্তাহে মাত্র ২০০ ডলার তুলতে পারবে বলে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। 

কংগ্রেস ছেড়ে আসা সুম্মিতা দেবকে বড় দায়িত্ব, রাজ্যসভায় মানসের ছেড়ে যাওয়া আসনে তৃণমূল প্রার্থী

Weather Update: বুধবারে দুপুরের আগে কাটছে না দুর্যোগ, জোয়ারের কারণে কলকাতায় বন্ধ গঙ্গার লকগেট

মহম্মদ এহসান নাম এক আফগানবাসী জানিয়েছেন তাঁর বাড়িতে খাবার বাড়ন্ত। সেই কারণেই তিনি বাড়ির জিনিসপত্র এনে পসরা সাজিয়ে বসে রয়েছেন বিক্রি করার আশায়। কাবুলরের একটি পাহাড়ী এলাকায় তার বাড়িছ। তিনি আরও জানিছেন নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে তিনি কাজ করতেন। কিন্তু তালিবানরা কাবুল দখলের পর থেকেই কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। চরম অর্থকষ্টে দিন কাটছে তার পরিবারের। তিনি আরও বলেছেন ধনী ব্যক্তিরা সকলেই কাবুলে থাকত। কিন্তু তালবানদের আগ্রাসনের আগেই তারা  কাবুল ছাড়তে শুরু করে। এখন অধিকাংশ ধনী মানুষই আফগানিস্তান ছেড়ে চলে গেছে। তিনি আরও বলেছেন তালিবানদের কাছ থেকে সাধারণ মানুষ এখন আর তেমন কিছু আশা করে না। তারা শুধু দুবেলা দুমুঠো খাবারের আশা করেন। 

পাহাড়ে না চড়েই হিমালয়ের ৮টি শৃঙ্গ ভ্রমণের সুবর্ণ সুযোগ , এই সফরে রেকর্ড বুকে নাম তোলার হাতছানি

এমনিতেই আফগানিস্তানে চরম অর্থকষ্ট ছিল। তার সঙ্গে নতুন করে যোগ হয়েছে খরা, খাদ্য সংকট আর করোনা মহামারির দাপট। যা রীতিমত সমস্য়ায় ফেলে দিয়েছে সাধারণ মানুষকে। মোস্তাফা নামে এক ব্যক্তি জানিয়েছেন তাঁর কাছে অনেক আফগান অনেক দ্রব্য বিক্রি করেছে। তারা দেশ ছেড়ে চলে যেতে চেয়েছিল বলেই বিক্রিবাট্টা করে দিয়েছে সবকিছু। তিনি আরও জানিয়েছেন এখনও প্রচুর আফগান সবকিছু বিক্রি করে দেশ ছেড়ে যাওয়ার প্রতীক্ষায় রয়েছে। মাত্র ৫হাজার মার্কিন ডলার থেকে ২ হাজার মার্কিন ডলারের বিনিময় আফগানরা সবকিছু বিক্রি করতে রাজি রয়েছে। 

YouTube video player