সংক্ষিপ্ত
- ফের রক্তাক্ত কাবুলের রাজপথ
- এবার জঙ্গিদের লক্ষ্য ভাইস প্রেসিডেন্ট
- তাঁর কনভয় লক্ষ্য করে বিস্ফোরণ
- রক্ষা পেলেন না ভাইস প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তারক্ষীরাও
ফের একবার বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল। এবার জঙ্গিদের নিশানায় দেশের বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহ। আফগানিস্তানের প্রাক্তন গোয়েবন্দা প্রধানকে লক্ষ্য করে ভয়াবহ বোমা বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত এই হামলায় এখনও পর্যন্ত ৬ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গিয়েছে। ভাইস প্রেসিডেন্টের ৩ নিরাপত্তারক্ষী সহ আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১২ জন। তবে বেসরকারি মতে মৃতের সংখ্যা ১৫। আর আহতের সংখ্যা ৫০ ছাড়িয়েছে।
আফগান সাংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে, বুধবার স্থানীয় সময় সকালে সাড়ে সাতটা নাগাদ এই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। তবে ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন। তিনি ওই এলাকা থেকে নিরাপদে বেরিয়ে আসতে সক্ষমও হয়েছেন। আমরুল্লাহ সালেহের দফতরের একজন মুখপাত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহের দফতরের মুখপাত্র রাজওয়ান মুরাদ বলেন, "আবারও আফগানিস্তানের শত্রুরা সালেহের ক্ষতি করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তারা তাদের অসৎ লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে। হামলায় সালেহের কোনো ক্ষতি হয়নি এবং তিনি ঘটনাস্থল ত্যাগ করেছেন।" সালেহর কনভয় লক্ষ্য করে হামলা চালান হয়েছিল। রাজধানী কাবুলের তাইমানি এলাকায় রাস্তার পাশে পুঁতে রাখা বোমায় বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। আইইডি বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে এর ফলে সংলগ্ন একটি দোকানে থাকা গ্যাস সিলিন্ডার ব্লাস্ট করে।
আরও পড়ুন: ফরওয়ার্ড পোস্টের দখল নিতেই হামলা, এলএসি বরাবর হাজির লালফৌজের ৩ ব্যাটেলিয়ন
তালিবানদের সমালোচক হিসাবে পরিচিত সালেহ এই হামলার পর একটি ভিডিও মেসেজ দেন। যাতে তিনি দাবি করেন সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে তার এই অভিযান চলবে। আফগানিস্তানের দুই ভাইস প্রেসিডেন্টের মধ্যে অন্যতম সালেহ। এর আগেও বহুবার জঙ্গিরা নিশানা করেছেন এই আফগানি নেতাকে। এরমধ্যে গত বছরি তাঁর দফতরে হামলা চালান হয়েছিল। যাতে প্রাণ যায় ২০ জনের।
কাতারের রাজধানী দোহায় আফগানিস্তান সরকার ও তালেবানের মধ্যে বহু প্রতীক্ষিত শান্তি আলোচনা শুরু হওয়ার ঠিক আগে এই হামলার ঘটনা ঘটল। যদিও এখন পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠী কিংবা সংগঠন এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। এমনকি সরকারিভাবেও এখনো কাউকে দায়ী করা হয়নি। তবে প্রতিবারের মতো এবারো প্রাথমিক ভাবে সন্দেহের তির তালিবান বিদ্রোহীদের দিকেই যাচ্ছে।