সংক্ষিপ্ত
আফগান প্রেসিডেন্টের প্রাসাদে তালিবানরা। ক্ষমতা হস্তান্তর নিয়ে আলোচনা আশরাফ ঘানির সঙ্গে। নতুন রাষ্ট্রপতি হতে পারেন মোল্লা বারাদার
ভারতের স্বাধীনতা দিবসের দিনে এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে রয়েছে আফগানিস্তান। সূত্রের খবর ইসলামি সন্ত্রাসবাদীদের সামনে আত্মসমর্পণ করেছেন আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরফ ঘানি। তালিবানদের সঙ্গে ক্ষমতা হস্তান্তর নিয়ে আলোচনার পরেই আশরাফ ঘানি তাঁর পদ ছেড়ে দেবেন বলেও সূত্রের খবর। নতুন আফগান প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিতে পারেন তালিবান নেতা মোল্লা আবদুল ঘানি বারাদার। রবিবারই কাবুলে ঢুকে পড়েছে তালিবানরা। তারপরই তালিবানদের একটি প্রতিনিধি দল আলোচনার জন্য রাষ্ট্রপতির প্রাসাদে গেছে আলোচনার জন্য। অন্যদিকে তালিবানরা কাবুলের বাসিন্দা ও বিদেশিদের আশ্বস্ত করেছে জোর করে তারা ক্ষমতা দখল করবে না। আলোচনা মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরই চাইছে তারা।
সূত্রের খবর নতুন প্রেসিডেন্ট হতে চলেছেন তালিবান নেতা মোল্লা আবদুল ঘানি। তবে তার আগেই একটি সমান্তরাল সরকারও তৈরি করেছে তালিবানরা। একটি সূত্র বলছে আফগানিস্তানের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলি আহমেদ জালালি নতুন ট্রানজিশনাল সরকারের প্রধান হতে চলেছেন। এক বিবৃতি দিয়ে তালিবান মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ বলেছেন, কাবুলে যুদ্ধ না করার কথা ঘোষণা করেছে। যা সর্বশক্তিমান ঈশ্বরও প্রশংসা করেছেন। ঈশ্বরের সাহায্যেই আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতে এসেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। কাবুল একটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। তাই তালিবানরা যুদ্ধ করা থেকে বিরত রয়েছে। জোর করে আফগান রাজধানী কাবুলে প্রবেশ করতে চায় না তালিবানরা। শান্তিপূর্ণ উপায়ই রাজধানীর দখল নিতে চায় বলেও জানিয়েছেন তালিবান মুখপাত্র। তকালিবানরা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ এড়াতেই আফগান প্রেসিডেন্টকে আত্মসমর্পণ করতে আহ্বান জানিয়এছে বলেও বলা হয়েছে।
৭৫ সপ্তাহে '৭৫ বন্দে ভারত' ট্রেন, স্বাধীনতা দিবসে ভারতকে জুড়তে বড় ঘোষণা প্রধানমন্ত্রী মোদীর
কাবুলের দরজায় কড়া নাড়ছে তালিবানরা, বিনা যুদ্ধে জালালাবাদে পতন আফগানিস্তান সরকারের
Afghanistan:কাবুল কবজা করে 'শান্তির বাণী', আফগান রাজধানীতে ঢুকে উল্টোসুর তালিবানদের
তালিবানরা মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে একের পর এক শহর দখল করে নিয়েছে। আফগানিস্তানের সেনা বাহিনীকে রীতিমত পার্যুদস্ত করেছে। দেশের বিস্তীর্ণ এলাকা বর্তমানে তালিবানদের দখলে রয়েছে। তালিবানদের সঙ্গে যুদ্ধকরতে আসা মার্কিন সেনাবাহিনীর বিমান নিয়েই তালিবান যোদ্ধারা দাপটের সঙ্গে যুদ্ধ চালিয়ে গিয়েছে। বহু মার্কিন বিলিয়ন ডলার আর প্রশিক্ষিত সেনাবাহিনী পাশে থাকার পরেও তালিবানদের বিরুদ্ধে সামান্যতম প্রতিরোধ গড়ে তুলতে ব্যর্থ হয়েছে আফগান সেনা বাহিনী। যা নিয়ে হতবাক বিশ্বের একাধিক দেশ। খুব তাড়াতাড়ি তালিবানদের সঙ্গে বর্তমান আফগান সরকারের একটি চুক্ত হবে দোহাতে একটি চুক্তিও করবে। তালিবানদের প্রথম সারির নেতারা বর্তমানে কাতারে রয়েছে।
তালিবানদের প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও কাবুল ছাড়ার হিড়িক পড়ে গেছে। দেশের বাইরে যাওয়ার একমাত্র পথ কাবুল বিমান বন্দর। তাই অনেকেই তড়িঘড়ি দেশের বাইরে চলে যেতে চাইছেন। তবে তালিবানদের কাবুল দখল নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।