সংক্ষিপ্ত

আফ্রিকার ধনীতম মহিলার বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ
বাজেয়াপ্ত করা হল সমস্ত সম্পত্তি
দেশের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ
বাবার ক্ষমতার অপব্যবহার করেন ইসাবেল

আফ্রিকার ধনীতম মহিলা তিনি। নাম ইসাবেল ডস সান্তোস। তাঁর বিরুদ্ধের এবার  অ্যাঙ্গোলা সরকার দুর্নীতির অপরাধে তদন্ত শুরু করেছে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে  ইসাবেলের সমস্ত সম্পত্তি।

 অভিযোগ, রাষ্ট্রীয় তেল সংস্থাা সোনাঙ্গোলের শীর্ষে থাকার সময় এই প্রতারণা করেন তিনি। দুর্নীতির ঘটনায় সাস্তোস ছাড়াও আরও একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে তদন্ত করছে অ্যাঙ্গোলা প্রশাসন। 

আরও পড়ুন: দেরি করেছে তেজস, ৬৩০ জন যাত্রীকে ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে রেল

ক্ষমতায় থাকাকালীন সোনাঙ্গোলের বিপুল পরিমাণ অর্থ তিনি নয়ছয় করেছেন। সাংবাদিক সম্মেলনে এমনটাই দাবি করেছেন অ্যাঙ্গোলার অ্যাটর্নি জেনারেল হেল্ডার পিটা গ্রস। সান্তোস সহ  অভিযুক্তদের সকলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হতে চলেছে। 

২০১৬ সালে সোনাঙ্গোলের শীর্ষে বসেন সান্তোস। তার ১৮ মাসের সময়কালে একাধিকবার জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। এরপরই তাঁকে সরিয়ে কার্লোস সাতুরনিনোকে সংস্থার শীর্ষে বসানো হয়। শুরু করা হয় তদন্ত।

এই তদন্ত সংক্রান্ত নথি সম্প্রতি ফাঁস হয়েছে। যেখানে দাবি করা হয়েছে অ্যাঙ্গোলার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট এদুয়ার্দো দোস সান্তোসের বড় মেয়ে ইসাবেল নিজের দেশকে প্রতারিত করে ২.১ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে। দুর্নীতির মাধ্যমে গড়েছেন সম্পদের পাহাড়। যদিও নিজের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আফ্রিকার সবচেয়ে ধনী নারী।

আরও পড়ুন: পাকিস্তানে বাড়ছে বিবাহ বিচ্ছেদ, বলিউডকে দায়ী করলেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান

বর্তমানে ইসাবেলের সম্পদের পরিমাণ ২০০ কোটি টাকা। জমি, তেল, হীরা, টেলিকমসহ বিভিন্ন বিষয়ে নিজের ব্যাবসা প্রসারিত করেছেন তিনি। তবে জালিয়াতির সঙ্গে তাঁর স্বামী সিন্দিকা দোকোলোও জড়িত বলে অভিযোগ উঠছে। গোপন নথি অনুসারে, বাবার ক্ষমতা ব্যবহার করেই ইসাবেলা ও তার স্বামী জালিয়াতির মাধ্যমে মূল্যবান সম্পত্তি কেনার সুযোগ পান। 

১৯৭৫ সালে পতুর্গালের উপনিবেশ অ্যাঙ্গোলা স্বাধীনতা লাভ করে। এর কয়েক বছরের মধ্যেই দেশটির প্রেসিডেন্ট হন এদুয়ার্দো দোস সান্তোস। এরপর ৩৮ বছর ধরে ক্ষমতায় ছিলেন তিনি। ১৯৭৯ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত একটানা অ্যাঙ্গোলার প্রেসিডেন্ট ছিলেন এদুয়ার্দো দোস সান্তোস। প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি অ্যাঙ্গেলার সশস্ত্র বাহিনীর কমান্ডার ইন চিফও ছিলেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দল পিপলস মুভমেন্ট ফর দ্য লিবারেশন অব অ্যাঙ্গোলার (এমপিএলএ) সভাপতির পদেও অধিষ্ঠিত ছিলেন।