সংক্ষিপ্ত

ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমাজনের প্রাক্তন কর্মীর বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ ওঠা থেকে শুরু করে সংস্থার তথ্য পাচারের মত গুরুতর অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। ঘুষ নেওয়ার জন্য আমাজনের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদের অপব্যবহার করেই নিয়মিত সংস্থা থেকে গোপন তথ্য চুরি করতেন। এছাড়াও আমাজনের বাজারকে অনৈতিক ভাবে প্রভাবিত করার অভিযোগও ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। এবার ১০ মাস জেলের শাস্তি  দিল আমেরিকার আদালত। 

ফের অভিযোগের তীর আমাজনের (Amazon) দিকে। তবে এবার খোদ সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ নয়, অভিযোগ উঠেছে অনলাইন শপিং-অ্যাপ Online Shopping App) অন্যতম জনপ্রিয় অ্যাপ আমাজনের বিরুদ্ধে। উল্লেখ্য, গত বছরের শেষর দিকে আমাজনের (Amazon)বিরুদ্ধে ফিউচার গ্রুপ আর্থিক কেলেঙ্কারির মামলা করেছিল। এর আগেও আমাজনের হাত ধরে গোটা বিশ্বে গাঁজা বিক্রির মত অভিযোগও উঠেছে। তবে এবার এই সংস্থার এক প্রাক্তন কর্মীর বিরুদ্ধে বেআইনি কাজের অভিযোগ উঠল। আমাজনের এই প্রাক্তন কর্মীর নাম রোহিত কাদিমি শেট্টি (Rohit kadimi Shetty)। বয়স ২৮। ক্যলিফোর্নিয়ার নর্থরিজে বসবাসকারী রোহিত একজন আদ্যপান্ত ভারতীয় (Indian)। এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমাজনের প্রাক্তন কর্মীর (Amazon Ex Employee) বিরুদ্ধে ঘুষে নেওয়ার অভিযোগ ওঠা থেকে শুরু করে সংস্থার তথ্য পাচারের মত গুরুতর অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। তিনি নাকি রীতিমত ঘুষ নেওয়ার চক্র ফেঁদে বসেছিলেন। আর এই ঘুষ নেওয়ার জন্য আমাজনের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদের অপব্যবহার করেই নিয়মিত সংস্থা থেকে গোপন তথ্য চুরি করতেন। এখানেই শেষ নয়, আমাজনের বাজারকে অনৈতিক ভাবে প্রভাবিত করার অভিযোগও ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। এই সব কটি অপরাধেই ২৮ বছরের ভারতীয় বংশোদ্ভুত রোহিত কাদিমি শেট্টিকে দোষী সাব্যস্ত করল আমেরিকার ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট (America District Court)।  ১০ মাস জেলের শাস্তি (10 months jail custody)  দিল আমেরিকার আদালত (American Court)। 

প্রসঙ্গত, এই ঘটনার সুত্রপাত, ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে। রোহিত সহ আরও ছয় জনের বিরুদ্ধে অনলাইন শপিং অ্যাপ আমাজনের সঙ্গে প্রতারণা ও ঘুষের মামলা দায়ের করা হয়। প্রায় একবছর পর অর্থাৎ ২০২১ সালে নিজেকে অপরাধী বলে স্বীকার করে নেন বছর ২৮-এর রোহিত। আমেরিকার বিচারবিভাগে তরফে আইনজীবী নিক ব্রাউনের তরফে সম্প্রতি জানান হল, ২৮ বছরের রোহিত কাদিমি শেট্টিকে ১০ মাসের জেল হেফাজতে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে ৫০ হাজার মার্কিন ডলার জরিমানা করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০১৭ সাল থেকেই ঘুষের এই চক্রের মধ্যমণি হয়েছিলেন রোহিত। ভারতে এই কাজের কিছু সাহায্যকারীও ছিল তাঁর। রোহিত তাঁদের নিয়মিত টাকা দিতেন। বদলে তাঁরা অ্যামাজনের বন্ধ হয়ে যাওয়া অ্যাকাউন্টগুলিকে নতুন করে খুলে সেখান থেকে গোপন তথ্যের সন্ধান করত। গত বছর যখন নিজেকে দোষী প্রমাণ করে নেন রোহিত তখনই আদালতে জানিয়ছেছিলেন, তিনি ১ লক্ষ মার্কিন ডলারের ঘুষের লেনদেনের সঙ্গে জড়িত। তবে ২০১৮ সাল থেকে এই ধরনের বেআইনি কাজের সঙ্গে আর যুক্ত হয় নি রোহিত। 

আরও পড়ুন-প্রজাতন্ত্র দিবসে গো ফার্স্টের রাইট টু ফ্লাই সেল অফার, মাত্র ৯২৬ টাকায় আকাশপথে ওড়ার সুযোগ

আরও পড়ুন-FIR Against Amazon: জাতীয় পতাকার অবমাননা, অ্যামাজনের বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ

আরও পড়ুন-বাকি মাত্র ১ দিন, ২০ হাজারের কমে স্মার্টফোন, আমাজন মোবাইল সেলে MI 10T Pro 5G ও MOTOROLA G60-এ দারুণ অফার

উল্লেখ্য, আমাজনে ভারতীয় বিভাগের যে সমস্ত কর্মী রোহিতের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন তাদের অনেককেই বরখাস্ত করেছিল সংস্থা। মামলাটির শুনানি চলাকালীন আমেরিকার ডিস্ট্রিক্ট জাজ অপরাধের ব্যখ্যা দিয়ে রোহিতকে বলেছেন, তিনি যে ধরনের অপরাধমূলক কাজকর্মের সঙ্গে নিজেকে যুক্ত করেছিলেন সেটিকে আধুনিক যুগের পরিকল্পিত অপরাধও বলেও চিহ্নিত করা হতে পারে।