সংক্ষিপ্ত
অ্যাঞ্জেলিনা জোলি শরণার্থীর শিবির পরিবর্শন করেন। কথা বলেন গৃহহারাদের সঙ্গে। দেখা করেছিলেন ইউক্রেনে কর্মরত সেচ্ছাসেবীদের সঙ্গে।
রিল লাইফে নয়, রিয়েল লাইফেও অবাক করার মতই ক্ষমতা রাখেন হলিউড অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। শনিবার সকলেই অবাক করে দিয়ে তিনি যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেন সফর করেন। লাভিভের একটি হাসপাতালে গিয়ে কথা বলেন রাশিয়ার সেনার হামলায় জখম ইউক্রেনীয় শিশুদের সঙ্গে। ৪৬ বছরের অ্যাঞ্জেলিনা জোলি রাষ্ট্র সংঘের শরণার্থী সংস্থার একজন বিশেষ দূত। তিনি বলেছেন গত দুই মাসে ১২ কোটিরও বোশি মানুষ তাদের ঘরবাড়ি হারিয়েছে যুদ্ধের কারণে। তারা প্রাণ বাঁচাতে অন্যত্র চলে গেছে। তিনি আরও জানিয়েছেন ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে দেশের ৩০ শতাংশ জনসংখ্যা হারিয়েছে।
এদিন সম্পূর্ণ অন্য ভূমিকায় দেখা যায় অ্যাঞ্জেলিনা জোলিকে। তিনি শরণার্থীর শিবির পরিবর্শন করেন। কথা বলেন গৃহহারাদের সঙ্গে। দেখা করেছিলেন ইউক্রেনে কর্মরত সেচ্ছাসেবীদের সঙ্গে। তাঁকে জানান হয়েছে শরণার্থী শিবিরে থাকা স্বেচ্ছাসেবীদের সঙ্গে কথা বলেছেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা। শিবিরে যেসব শিশু রয়েছে তাদের অধিকাংশেরও বয়স ২-১৫ বছর।
জোলি শিশুদের সঙ্গে কথা বলার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখী হয়েছিলেন। তিনি বলেছেন, ভয় কী জিনিস তা তিনি এখানে এসে দেখলেব। যুদ্ধের ভয় এখনও সন্ত্রস্ত শিশুরা। তিনিও শিশুদের সঙ্গে কথা বলেন,গল্প করেন আর মজা করে তাঁদের স্বাভাবিক করার চেষ্টা করেন। গত মাসে এভাবেই জোলি ইয়েমেন সফর করেছিলেন।
অন্যদিকে গতকাল ইউক্রেনের বন্দরশহর মারিউপোলের একটি ইস্পাত কারখানা থেকে প্রায় ২০ জন সাধারণ ইউক্রেনীয়কে উদ্ধার করা হয়েছে। রাশিয়ান সেনা নিয়ন্ত্রিত এই শহর থেকে সাধারণ মানুষদের বার করে আনা মোটেও সহজ ছিল না। কারণ এক সপ্তাহ আগেই এই শহরের দখল নিয়েছিল রাশিয়া।
আজভ স্টিল প্ল্যান্টেই দীর্ঘ দিন ধরে লুকিয়ে ছিলেন এই নাগরিকরা। আজভ রেজিমেন্টের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে। সাইটটি রক্ষা করা হয়েছে। ২০ জন নাগরিক উত্তর-পশ্চিম দিকে প্রায় ২২৫ কিলোমিটার দূরে ইউক্রেনীয় শহর জাপোরিয়ঝিয়ায় চলে গেছে। রাষ্ট্র সংঘের হস্তক্ষেপেই এই উদ্ধারকাজ সম্ভব হয়েছে। ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি জেলেনস্কি শনিবার সন্ধ্য়ায় বলেছেন মারিউপোর থেকে সাধারণ মানুষদের উদ্ধার করার জন্য সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
ব্রিটেনের সংবাদপত্র বলেছে তারাবালকা একটি মিগ -২৯ যুদ্ধবিমান নিয়েই যুদ্ধের আসরে রাশিয়ার ত্রাসের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু গত ১৩ মার্চ রাশিয়ার সেনাদের সঙ্গে যুদ্ধের সময়ই তাঁর বিমান লক্ষ্য করে গুলি চালায় রাশিয়ান সেনারা। সেই সময়ই তাঁর মৃত্যু হয়। পাইলটকে যুদ্ধে সাহসিকতার জন্য মরণোত্তর শীর্ষে পদক অর্ডার অব দ্যা গোল্ডেন স্টারও দিয়েছে ইউক্রেন সরকার। তাঁকে ইউক্রেনের জাতীয় হিরোর খেতাবও দেওয়া হয়েছে।
টাইমেসেরর প্রতিবেদন অনুসারে তারাবালকো শুধু ইউক্রেনেই জনপ্রিয় এমনটা হয়। বিশ্বেও তিনি যথেষ্ট জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন তাঁর বীরত্ব আর সহসিকতার জন্য। সেই জন্যই তাঁর ব্যবহৃত সানগ্লাস, আর হেলমেট লন্ডনের একটি সংস্থা নিলাম করবে।