সংক্ষিপ্ত


দক্ষিণ আফ্রিকার (South Africa) সেলাটি গেম রিজার্ভ ফরেস্টে (Selati Game Reserve) পর্যটকদের জিপে হামলা করল হাতি। তারপর কী ঘটল, দেখুন ভাইরাল ভিডিওতে (Viral Video)।

দক্ষিণ আফ্রিকা (South Africa) থেকে সারা বিশ্বে করোনাভাইরাসের নতুন ভেরিয়েন্ট ওমিক্রন (Omicron) ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কার মধ্যেই আরও একটি শিউরে ওঠার মতো ভিডিও, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল (Viral Video) হল সেই দেশ থেকেই। হাতি (Elephant) সম্পর্কে অল্পবিস্তর জ্ঞান যাদের আছে, তারা সকলেই জানে, হাতি এমনিতে খুবই শান্ত প্রাণী। কিন্তু, রেগে গেলে তারা ভয়ঙ্কর রূপ নেয়। দক্ষিণ আফ্রিকার সেলাটি গেম রিজার্ভ ফরেস্ট (Selati Game Reserve) থেকে ভাইরাল হওয়া ভিডিও ফুটেজগুলিতে হাতির এমনই ভয়ঙ্কর রূপ দেখা গেল। একটি ক্রুদ্ধ আফ্রিকান হাতিকে দেখা গেল, পর্যটকদের একটি সাফারি জিপ উল্টে দিতে।

ক্রুগার ন্যাশনাল পার্কের (Kruger National Park) একেবারে প্রান্তে অবস্থিত সেলাটি গেম রিজার্ভ। এই অভয়ারণ্যে হাতি-সহ বেশ কিছু বুনো জীবজন্তুর বাস। সম্প্রতি একদল প্রশিক্ষণার্থী গাইড, জঙ্গলে একটি জিপ নিয়ে সাফারিতে গিয়েছিল। জিপটি জঙ্গলের একটি সরু রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময়, আচমকাই একটি দাঁতাল হাতি ঝোপের আড়াল থেকে উঠে এসে জিপটিতে হামলা করে। ওই ভিডিও ফুটেজ ইকোট্রেইনিং প্রশিক্ষকরা তুলেছেন। প্রায় ১৩ ফুট উচ্চতায় পেল্লায় দাঁতালটি প্রথমে জিপটিকে ভয় দেখায়। তাতেও তারা না পিছিয়ে গেলে সরাসরি জিপটির দিকে ছুটে এসে, মাথা দিয়ে ধাক্কা মেরে জিপটিকে প্রায় উল্টে দেয়। আক্রান্ত জিপের পিছনে সাফারির আরও একটি গাড়ি ছিল। সেখান থেকে আতঙ্কিত প্রশিক্ষকদের, আক্রান্ত জিপের যাত্রীদের দ্রুত ওই জিপ ছেড়ে পিছনের জিপে চলে আসার নির্দেশ দিতে করতে শোনা গিয়েছে। 

দেখে নিন সেই গা শিরশিরে ভিডিওটি -

প্রশিক্ষণার্থী গাইডরা ওই হাতির হামলা থেকে শেষ পর্যন্ত পালাতে পারলেও, তারা অল্পবিস্তর জখম হয়েছে। তবে সৌভাগ্যক্রমে, কারোর আঘাতই গুরুতর নয়। ইকোট্রেইনিং-এর পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভাইরাল ভিডিওগুলি সম্পর্কে একটি সরকারি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। তারা বলেছে, ইকোট্রেইনিং প্রশিক্ষক এবং প্রশিক্ষণার্থীরা আচমকাই একটি প্রজননে ব্যস্ত হাতির পালের সামনে পড়ে গিয়েছিলেন। হাতিরা যাতে ক্ষিপ্ত না হয় তার জন্যই গাড়িটি সেখানে থেমে গিয়েছিল। কিন্তু, একটি হাতি দাঁতাল ওই পালের সঙ্গে ছিল। হাতিটি প্রথমে ভয় দেখায়, তারপরে সরাসরি হামলা করে। তবে, প্রশিক্ষণার্থীদের দ্রুত দ্বিতীয় গাড়িতে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। উভয় ইকোট্রেইনিং প্রশিক্ষকেরই ২৫ বছরের বেশি কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে। তাই তাঁরা পরিস্থিতি বিচারে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছিলেন।